মাইকেল মধুসূদন দত্ত কবিতা

মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা সাহিত্যে সনেট এবং অঘ্রাটকারী ছন্দের জনক

------------কবিতা---------

কবিতা, কাব্য বা পদ্য হচ্ছে শব্দের ছন্দময় বিন্যাস যা একজন কবির আবেগপ্রবণ অনুভূতি, উপলব্ধি ও চিন্তাকে সংক্ষেপে এবং উপমা-উৎপ্রেক্ষা-চিত্রকল্পের সাহায্যে উদ্ভাসিত করে এবং শব্দের ছন্দের ব্যবহারে সুমধুর শ্রুতিযোগ্যতা যুক্ত করে। ঘটর বিচারে কবিতা ধরনের। যুগে যুগে কবিরা কবিতার বৈশিষ্ট্য ও পরিবর্তনে পরিবর্তন করেছেন। কবিতা শিল্পের মহত্তম নিয়ম গণিত।

--------চতুর্দশদী------------

চতুর্দশপদী (সনেট) হল এক ধরনের কবিতা যার উদ্ভব হয় ইউরোপে। এর বৈশিষ্ট হল যে এ রূপ কবিতাগুলো ১৪টি সংগঠিত এবং চরণে মোট ১৪টি অক্ষর থাকবে।

ইংরেজি চতুর্শপদী প্রথম পরিচিতি ঐতিহাসিক ১৬তম শতাব্দে 'টমাস ওয়াট' প্রয়োগের মাধ্যমে। কিন্তু এর প্রচলন প্রবল হয়ে প্রতিরোধ ফিলিপ সিডিনি এর অ্যাস্ট্রোফেল এবং স্টেলা (১৫৯১) প্রদর্শনের পর থেকে। তার পরের দুই শতক উইলিয়াম শেকসপিয়র, এডমন্ড স্পেনসার, মাইকেল ড্রায়টন ইত্যাদি ব্যক্তিত্বরা চতুর্দশপদী কবিতাকে নতুন পদক্ষেপে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এরূপ কবিতার মূল বিষয়বস্তু ছিল নারীর প্রতি ভালোবাসা।

----------হাইকু---------

হাইকু (একবচনে "হাইকি") একধরনের সংক্ষিপ্ত জাপানি কবিতা। স্বাভাবিক পংক্তিতে যথাক্রমে ৫, ৭ এবং ৫ জনি বিশ্বাসঘাত মোরাস মোট ১৭ মোরাসে সংক্ষিপ্ত পরিসরে একটি ঘটিত মনের ভাব প্রকাশ করা হয়। পানি হাইকু একটি লাইনেলিটি হয়। সেই বাক্য ১৭টি মোরাস থাকে। সাধারণত একটি ছবি বর্ণনা করার জন্য হাইকুলি করা হয়। মোরাস ও একই কথা নয়। ইউরোপীয় গণ ১৭ মোরাসেকে ১৭ মনে করে হাইকুকে দলবদ্ধ করে। তাদের দেখাদেখি বাংলা ১৭টি লেখা হাইকুটর প্রচলন হয়। মোরাস, দল ও দল এক-একটি ভাষা বিশ্বাস অনুসারী। সেই অনুযায়ী ১২ মোরাসে ১৭ সিলেবল হয়। ইউরোপে ইমেজিস্ট আন্দোলনের পর ১৭ সিলেবলের পরিবর্তে আরো বেশি সিলেবলের হাইকুট শুরু হয়েছে। জ্যাক কারুয়াক প্রমুখ যুক্তরাষ্ট্রের কবি গণগণ যে উচ্চারণ জাপানি উচ্চারণ হতে সম্পূর্ণ আলাদা। ১৭ দল ও তিন বাক্যবন্ধন হাইকু লিখেছেন।

--------মহাকাব্য---------

মহাকাব্য হচ্ছে দীর্ঘ ও বিস্তৃত কবিতা বিশেষ। সাধারণত দেশ সংস্কৃতির বীরত্ব গাঁথা এবং বিস্তৃত বর্ণনার পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে শুরু হয়। সুপ্রাচীন কালে কালে কবিতা কবিতাসমগ্রও মহাকামের মর্যাদা কথা। মহাকাব্য নিয়ে আলবার্ট লর্ড এবং মিলমান প্যারি গবেষণা করেছেন। একই কথায় কথাপ্রদর্শন সহকারেকমত্য পার্টি বলেছেন, হিন্দুকালের মহাকাব্যগুলি মানে কালের প্রাচীন মৌখিকভাবে যে প্রচার ও প্রচারিত কবিতাসমগ্রই শ্রেণিবিভাগ মাত্র।

এই মাইকেল মধুসূদন দত্ত কবিতার আবেদন টি আপনাকে দেখালো ভালো/মন্দ অবশ্যই জানাবেন। ধন্যবাদ!