Sobre este বঙ্কিম সমগ্র
চট্টোপাধ্যায় চট্টোপাধ্যায় - উনিশ শতকের বাঙালি সাহিত্যিক ও
চট্টোপাধ্যায় চট্টোপাধ্যায় (২৭ জুন ১৮৩৮ - ৮ এপ্রিল ১৮৯৪) ছিলেন উনিশ শতকের বিশিষ্ট বাঙালি ঔপন্যাসিক. বাংলা গদ্য ও উপন্যাসের বিকাশে অসীম অবদানের জন্যে তিনি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে অমরত্ব লাভ।. তাকে সাধারণত প্রথম আধুনিক বাংলা হিসেবে গণ্য করা হয়। তবে গীতার ব্যাখ্যাদাতা হিসাবে, সাহিত্য সমালোচক হিসাবেও তিনি বিশেষ খ্যাতিমান। তিনি জীবিকাসূত্রে ব্রিটিশ রাজের কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি বাংলা ভাষার আদি সাহিত্যপত্র প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন। তিনি ছদ্মনাম হিসেবে কমলাকান্ত নামটি বেছে নিয়েছিলেন
জন্ম ও বংশপরিচয়ঃ
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম হয় বর্তমান ২৪ পরগনা জেলার নৈহাটি নিকটস্থ নিকটস্থ গ্রামে। জুন ২৭ জুন, ১৮৩৮ অর্থাৎ ১৩ আষাঢ় ১২৪৫। চট্টোপাধ্যায়দের আদিনিবাস ছিল হুগলি জেলার দেশমুখো গ্রামে বঙ্কিমচন্দ্রের প্রপিতামহ রামহরি চট্টোপাধ্যায় মাতামহের পেয়ে কাঁঠালপাড়ায় আসেন এবং বসবাস বসবাস করেন। রামহরির পৌত্র যাদবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের তৃতীয় বঙ্কিমচন্দ্র, মাতা দুর্গাসুন্দরী দেবী, বঙ্কিমের পূর্বে তার আরও দুই পুত্রের জন্ম হয় - শ্যামাচরণ ও সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বঙ্কিমের জন্মকালে তিনি সদ্য অবিভক্ত জেলার ডেপুটি কালেক্টর পদে উন্নীত হয়েছিলেন।
শিক্ষাঃ
জন্মের পর ছয় বছর বঙ্কিমচন্দ্র কাঁঠালপাড়াতেই অতিবাহিত। পাঁচ বছর বয়সে কুল-পুরোহিত বিশ্বম্ভর ভট্টাচার্যের বঙ্কিমচন্দ্রের হাতেখড়ি হয়। শিশু বয়সেই তার অসামান্য মেধার পরিচয় পাওয়া। বঙ্কিমের কণিষ্ঠ সহোদর পূর্ণচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় “,“ শুনিয়াছি বঙ্কিমচন্দ্র একদিনে বাংলা বর্ণমালা আয়ত্ত করিয়াছিলেন। ”যদিও গ্রামের পাঠশালায় বঙ্কিম কোনওদিনই যান। পাঠশালার গুরুমশাই রামপ্রাণ সরকার বাড়িতে গৃহশিক্ষক নিযুক্ত হন। বঙ্কিমচন্দ্রের রচনা থেকে মনে হয় রামপ্রাণের শিক্ষা থেকে বিশেষ উপকৃত হন নি. লিখেছেন লিখেছেন, “সৌভাগ্যক্রমে আমরা আট দশ মাসে এই মহাত্মার হইতে মুক্তিলাভ করিয়া মেদিনীপুর গেলাম”
১৮৪৯ সালে বঙ্কিমচন্দ্র পুনরায় কাঁঠালপাড়ায় ফিরে আসেন এইসময় কাঁঠালপাড়ার শ্রীরাম ন্যায়বাগীশের কাছে বাংলা ও সংস্কৃতের পাঠ নেন. বঙ্কিমচন্দ্র খুব ভালো আবৃত্তিকারও ছিলেন। সংবাদ প্রভাকর ও সংবাদ সাধুরঞ্জন সংবাদপত্রে প্রকাশিত বহু কবিতা তিনি এই বয়সেই কণ্ঠস্থ করে।. ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর বিরচিত বিদ্যাসুন্দর কাব্য বিদ্যার রূপবর্ণন ও জয়দেব গীতগোবিন্দম্ কাব্য থেকে ধীরে সমীরে যমুনাতীরে কবিতাদুটি তিনি প্রায়শই।। এছাড়াও পণ্ডিত হলধর তর্কচূড়ামণির কাছে সময় তিনি মহাভারত শ্রবণ করতেন. হলধরই তাকে শিক্ষা দেন - “শ্রীকৃষ্ণ আদর্শ পুরুষ ও আদর্শ চরিত্র”. এই শিক্ষা তার পরবর্তী জীবনে নানা রচনাতে প্রতিফলিত হয়েছিল। [
কিছুকাল পরে ১৮৪৯ সালে হুগলি (অধুনা হুগলি মহসিন কলেজ) ভর্তি হন। এখানে তিনি সাত বছর পড়াশোনা করেন। হুগলি কলেজ পড়াকালীন ১৮৫৩ সালে স্কলারশিপ পরীক্ষায় প্রথম স্থান করে মাসিক আট টাকা বৃত্তি লাভ করেন. এই বছরেই সংবাদ প্রভাকরে কবিতা অংশগ্রহণ করে কুড়ি টাকা পুরস্কার লাভ করেন. হুগলি কলেজ অধ্যয়নকালেই বঙ্কিমচন্দ্র কবিবর গুপ্তের সংবাদ প্রভাকর ও সাধুরঞ্জনে গদ্য-পদ্য রচনা আরম্ভ করেন. পরবর্তীকালে তার বহু রচনা এই কাগজে প্রকাশিত হয়। হুগলি কলেজ ১৮৫৬ সালে সিনিয়র পরীক্ষায় সব বিষয়ে বিশেষ প্রদর্শন করে তিনি দুই বছরের জন্য কুড়ি টাকা বৃত্তি।। এই বছরই তিনি হুগলি কলেজ আইন পড়বার জন্য কলকাতায় কলেজে কলেজে হন। ১৮৫৭ সালে জানুয়ারী মাসে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা। এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এন্ট্রান্স বা পরীক্ষা প্রবর্তন করেন। প্রেসিডেন্সি কলেজের আইন বিভাগ থেকে পরীক্ষা দিয়ে বঙ্কিমচন্দ্র প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন. পরের বছর ১৮৫৮ সালে প্রথমবারের বি.এ. পরীক্ষা নেওয়া হয় মোট দশজন ছাত্র প্রথমবারে পরীক্ষা দিয়েছিলেন। উত্তীর্ণ হয়েছিলেন কেবলমাত্র বঙ্কিমচন্দ্র ও যদুনাথ বসু
তার বাবার মতো তিনিও চাকরিতে যোগদান করেন, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও ডেপুটি কালেক্টার পদে. সারা জীবন তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠার কাজ করে যান। স্বীকৃতি স্বরূপ ব্রিটিশ সরকার তাকে খেতাবে ভূষিত করে - ১৮৯১ সালে রায় বাহাদুর এবং ১৮৯৪ সালে কম্প্যানিয়ন অফ দ্য মোস্ট এমিনেন্ট অর্ডার অফ দ্য এমিনেন্ট অর্ডার অফ। এমিনেন্ট তবে সরকারি কর্মকর্তা নয় বরং এবং বাঙলা তথা ভারতের নবজাগরণের অন্যতম মুখ হিসেবেই তিনি অধিক।.
Novidades em 1.2 mais recente
Informações sobre বঙ্কিম সমগ্র APK
Versões Antigas de বঙ্কিম সমগ্র
বঙ্কিম সমগ্র 1.2
বঙ্কিম সমগ্র 1.1
Baixar de Forma Rápida e Segura via APKPure App
Um clique para instalar arquivos XAPK/APK no Android!