মজাদার কার্টুন নন্টে ফন্টে - Nonte fonte Cartoon

১৯৬৯ সালের ডিসেম্বরে ‘কিশোর ভারতী’ পত্রিকার দ্বিতীয় বর্ষের তৃতীয় সংখ্যায় ‘নন্টে-ফন্টে’-র আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল। ইতিমধ্যেই সবার মন জিতে নেওয়া দুই চরিত্র হাঁদা এবং ভোঁদার আদলেই নন্টে এবং ফন্টেকে গড়ে তুলেছিলেন নারায়ণ দেবনাথ। তিনি ১৯৭২ সালে ‘পরিবর্তন’ নামের একটি বই অলংকরণ করেছিলেন। মনোরঞ্জন ঘোষের লেখা এই বইটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৫০ সালে। সেটির থেকে বাংলা এবং হিন্দি চলচ্চিত্রও নির্মিত হয়েছে। বইটি পুনর্মুদ্রণের সময়ে অলংকরণ করতে গিয়ে তিনি সেখানে পান কয়েকটি ছেলের হোস্টেল জীবনের গল্প। এরপর থেকে তাঁর কমিকসেও নন্টে আর ফন্টের হোস্টেলবাস শুরু হয়, এসে যায় সুপারিনটেনডেন্ট স্যার হাতিরাম পাতি, দুষ্টু ছাত্র কেল্টুরাম, রাঁধুনির মতো চরিত্ররা।

‘নন্টে-ফন্টে’ সিরিজের কমিকসে দেখা যায়, নন্টে আর ফন্টে কোনো এক মফসসলের স্কুল হোস্টেলে থাকে। দু’জনে সহপাঠী এবং অভিন্নহৃদয় বন্ধু। কেল্টুরাম এই দু’জনের থেকে বয়সে বড়ো। অন্য ছাত্রদের মতো সে হাফ প্যান্ট পরে না, ফুল প্যান্ট পরিধান করে। অল্পবয়সী ছাত্রদের দিয়ে নিজের কাজকর্ম করিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে, কখনও ভয় দেখায়, কখনও বা অন্যভাবে কাজ হাসিলের পরিকল্পনা করে। তবে, নন্টে আর ফন্টের কাছে বারবার জব্দ হয়। কেল্টু সব সময়ে বিশালবপু, খাদ্যরসিক সুপারিনটেনডেন্ট স্যারের সুনজরে থাকার চেষ্টা করে, তবে অনেক ক্ষেত্রেই স্যারের প্রহারই তার ভাগ্যে জোটে। কমিকস স্ট্রিপে ল্যাংচা, বোঁচার মতো আরও বেশ কিছু চরিত্রের নাম পাওয়া যায়।

১৯৮১ সালের ডিসেম্বরে প্রথম বই হয়ে পাঠকের হাতে আসে ‘নন্টে-ফন্টে’-র কমিকস। প্রথম দিকে সাদাকালো কমিকস থাকত, পরে কম্পিউটারের জাদুতে রঙিন কমিকস প্রকাশিত হওয়া শুরু করে। টেলিভিশনের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি অ্যানিমেটেড ভিডিও সিরিজ। পঞ্চাশ বছরও পেরিয়ে গেলেও, একইভাবে কচিকাঁচাদের মনোরঞ্জন করছে ‘নন্টে-ফন্টে’। শুধু কঁচিকাচা বললে ভুল হবে, বড়োরাও এই কমিকস পড়ে একই রকম মজা পান, উপভোগ করেন। ফেলে আসা শৈশবকে তাঁরা খুঁজে পান এই কমিকসে। এমন এক নির্মল ছাত্রজীবনের গল্প বলা থাকে এই সিরিজে, যেখানে মোবাইল ফোন নেই, কেরিয়ারের জন্য ইঁদুর দৌড় নেই – নন্টে-ফন্টের হোস্টেল যেন এক রূপকথা। তেমন মিষ্টি কৈশোর এখনকার ছেলেমেয়েরা আর পাবে না, ‘নন্টে-ফন্টে’-র কমিকস তাই চিরকালীন হয়ে থাকবে বাঙালির জীবনে।

Nante-Fonte appeared in the third issue of the second year of Kishore Bharati in December 1989. Narayan Debnath had created Nante and Fonte in the form of two characters, Handa and Bhoda, who had already won the hearts of everyone. He published a book called 'Change' in 1982. This book written by Manoranjan Ghosh was first published in 1950. Bengali and Hindi films have also been made from it. While decorating the book, he found the story of a few boys' hostel life there. From then on, his comics also started hostel bus in Nantes and Font, characters like Superintendent Sir Hatiram Pati, naughty student Kelturam, cook came.

As can be seen in the comics of the 'Nante-Fonte' series, Nante and Fonte live in a school hostel in Mofassal. The two are classmates and close friends. Kelturam is older than these two. Unlike other students, she wears full pants, not shorts. Trying to get things done with young students, sometimes intimidating, sometimes planning to get a job or otherwise. However, Nantes and Fonts were repeatedly seized. Keltu always tries to be kind to the giant, food-loving superintendent, but in many cases, Sir's beating is his fate. The comics strip features the names of several other characters, such as Lancha and Bonchar.

The first book to come out in December 1971 was Comics from Nante-Fonte. At first there were black and white comics, but later color comics began to appear in the magic of computers. We got an animated video series through television. Fifty years later, Nante-Fonte is still entertaining youngsters. It would be wrong to say just kanchikacha, adults also have the same fun reading these comics, enjoy. They find the abandoned childhood in this comic. The story of a pure student life is told in this series, where there is no mobile phone, no rat race for a career - the hostel in Nantes-Font is like a fairy tale. Today's children will not get such sweet adolescence anymore, so the comics of 'Nante-Fonte' will remain forever in the life of Bengalis.