১১৪ টি সূরার বাংলা অর্থ
১১৪ টি সূরার বাংলা অর্থ के बारे में
114 টি সূরার বাংলা অর্থ | কুরআন শব্দের অর্থ: পাঠ করা, যা পাঠ করা হয়।
কুরআন শব্দের অর্থ: পাঠ করা, যা পাঠ করা হয়। আর পরিভাষায়-আল্লাহ তা'আলা জিবরাঈল আলাইহিস সালামের মাধ্যমে সুদীর্ঘ ২3 বছরে মানব জাতিরহেদায়াত হিসাবে রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে কিতাব অবতীর্ণ করেছেন তার নাম আলকুরআন। নিম্নে কুরআনের পরিচয় তুলে ধরা হলো:
1। কুরআন আল্লাহর কিতাব:
আল্লাহ তা'আলা যুগে যুগে মানবতার হেদায়াতের জন্য যেসব কিতাব অবতীর্ণ করেছেন সেগুলোকে আসমানী কিতাব বলা হয়। আলকুরআন হলো সর্বশেষ আসমানীকিতাব, যা বিশ্বমানবতার জন্য অবতীর্ণ করা হয়েছে। আল্লাহ তা'আলা বলেন:
) وإنه لتنزيل رب ٱلعلمين( [الشعراء: 192]
অর্থ: '' নিশ্চয় এ কুরআন বিশ্ব জাহানের রবের পক্ষ থেকে অবতীর্ণ করা হয়েছে '' [সূরা আশ-শু'আরা -19২]।
কুরআন শিক্ষার গুরুত্ব
1। কুরআন শিক্ষা ফরয:
প্রত্যেক মুসলিমকে কুরআন পড়া জানতে হবে। যে নিজেকে মুসলিম হিসাবে দাবী করবে তাকে অবশ্যই কুরআন শিক্ষা করতে হবে। কুরআন শিক্ষা করা এতোগুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে, আল্লাহ তা'আলা কুরআন শিক্ষা করা ফরয করে দিয়েছেন। আল্লাহ তা'আলা বলেন:
) ٱقرأ بٱسم ربك ٱلذي خلق 1 ([العلق: 1]
অর্থ: 'পড় তোমার রবের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন' [সূরা আলাক: 1]।
কুরআন শিক্ষায় কোন প্রকার অবহেলা করা যাবে না। উম্মাতকে কুরআন শিক্ষার নির্দেশ দিয়ে ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,
«تعلموا القرآن, واتلوه»
অর্থ: 'তোমরা কুরআন শিক্ষা কর এবং তিলাওয়াত কর' [মুসান্নাফ ইবন আবী শাইবাহ: 857২]।
২.সালাত আদায়ের জন্য কুরআন শিক্ষা:
আল্লাহ তা'আলা ঈমানদার বান্দাহদের উপর প্রতিদিন পাচ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছেন। কুরআন তেলাওয়াত ছাড়া সালাত আদায় হয় না। সালাত আদায় করারজন্যও কুরআন শিখতে হবে। কুরআনে বলা হয়েছে,
) فٱقرءوا ما تيسر من ٱلقرءان ([المزمل: 20]
অর্থ: 'অতএব তোমরা কুরআন থেকে যতটুকু সহজ ততটুকু পড়' [সূরা আল-মুযযাম্মিল: ২0]।
এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«لا صلاة لمن لم يقرأ بفاتحة الكتاب»।
অর্থ: 'যে ব্যক্তি সূরা ফাতেহা পড়ে না তার সালাতই হয় না'। [সহীহ বুখারী: 756]
কুরআন শিক্ষা ও তিলাওয়াতের ফযিলত
1। কুরআন তিলাওয়াত আল্লাহর সাথে একটি লাভজনক ব্যবসা:
কুরআন তিলাওয়াত আল্লাহর সাথে একটি লাভজনক ব্যবসা। বিভিন্ন ব্যবসায় লাভ এবং ক্ষতি দুটিরই সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু এখানে লাভ ছাড়া কোন প্রকার ক্ষতিরঅঙশ নেই। এ বিষয়ে আল্লাহ তা'আলা বলেন:
) إن ٱلذين يتلون كتب ٱلله وأقاموا ٱلصلوة وأنفقوا مما رزقنهم سرا وعلانية يرجون تجرة لن تبور 29 ليوفيهم أجورهم ويزيدهم من فضله إنه غفور شكور 30 ([فاطر: 29, 31]
'' যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে, সালাত কায়েম করে, আমার দেয়া রিজিক থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারাই আশা করতে পারে এমন ব্যবসার যাকখনো ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। কারণ আল্লাহ তাদের কর্মের পূর্ণ প্রতিদান দেবেন এবং নিজ অনুগ্রহে আরো অধিক দান করবেন। তিনি ক্ষমাশীল ও দয়াবান। '' [সূরাফাতির ২9-30]
২। কুরআন পাঠকারী প্রত্যেক হরফের জন্য সওয়াব লাভ করে:
কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে বিরাট সওয়াব অর্জন করার সুযোগ রয়েছে। এর সাথে অনেক উপকারিতাও রয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামবলেছেন,
«من قرأ حرفا من كتاب الله فله به حسنة والحسنة بعشر أمثالها لا أقول الم حرف ولكن ألف حرف ولام حرف وميم حرف»
'' যে ব্যক্তি কুরআনের একটি হরফ পাঠ করে, তাকে একটি নেকি প্রদান করা হয়। প্রতিটি নেকি দশটি নেকির সমান। আমি বলি না যে, আলিফ-লাম-মীম একটিহরফ। বরং আলিফ একটি হরফ, লাম একটি হরফ, মীম একটি হরফ '' [সুনান আত-তিরমিযি: ২910]।
3। কুরআনের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সর্বোত্তম ব্যক্তি:
কুরআন শিক্ষার মাধ্যমে দুনিয়া ও আখেরাতে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করা যায়। উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামবলেছেন,
«خيركم من تعلم القرآن وعلمه»
অর্থ: '' তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি সেই যে নিজে কুরআন শিক্ষা করে ও অপরকে শিক্ষা দেয় '' [বুখারী: 50২7]।
4। কুরআন তিলাওয়াতকারীর পক্ষে সুপারিশ করবে:
কিয়ামতের ভয়াবহ অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াতকারীর পক্ষে সুপারিশ করবে.এটা বিরাট সৌভাগ্যের বিষয়। আবু উমামাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদীসেরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
তোমরা কুরআন তিলাওয়াত কর, কারণ, কুরআন কেয়ামতের দিন তিলাওয়াতকারীর জন্য সুপারিশ করবে '[মুসলিম: 1910]।
What's new in the latest 1.0
১১৪ টি সূরার বাংলা অর্থ APK जानकारी
১১৪ টি সূরার বাংলা অর্থ के पुराने संस्करण
১১৪ টি সূরার বাংলা অর্থ 1.0
APKPure ऐप के माध्यम से सुपर तेज़ और सुरक्षित डाउनलोडिंग
एंड्रॉइड पर XAPK/APK फ़ाइलें इंस्टॉल करने के लिए एक-क्लिक करें!