このমহাপৃথিবী - জীবনানন্দ দাশについて
詩人のMahaprthibi鳥四アンソロジー。彼は出版社Purbasha株式会社でした
মহাপৃথিবী কবি জীবনানন্দ দাশের চতুর্থ কাব্যগ্রন্থ। এটি প্রকাশিত হয় ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে (১৩৫১ বঙ্গাব্দ); প্রকাশক ছিলেন পূর্বাশা লিমিটেডের পক্ষে সত্যপ্রসন্ন ঘোষ। ঝরাপালক (১৯৪২), ধূসর পাণ্ডুলিপি (১৯৩৬) ও বনলতা সেন (১৯৪২) এর পর ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে ‘মহাপৃথিবী’ কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশ করেছিলেন জীবনানন্দ দাশ। মহাপৃথিবী’র সবচেয়ে বিখ্যাত কবিতা আট বছর আগের একদিন।
জীবনানন্দ দাশ এই কাব্যটি কবি প্রেমেন্দ্র মিত্র ও সঞ্জয় ভট্টাচার্যকে উৎসর্গ করেছিলেন। ‘রয়াল’ আকারের ৪৮ পৃষ্ঠার গ্রন্থটির জন্য জীবনানন্দ দাশ ৩৫টি কবিতা বাছাই করিয়াছিলেন। পরবর্তীকালে অন্যান্য প্রকাশক ও সম্পাদক এ কাব্যগ্রন্থে নতুন কবিতা সংযোজন করেছেন। কবির মৃত্যুর পর ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার সিগনেট প্রেস কর্তৃক প্রকাশিত মহাপৃথিবী’র সংস্করণে কবিতার সংখ্যা ৩৯। আরো উল্লেখ্য যে, এ সংস্করণ থেকে বনলতা সেন-এর ১২টি কবিতা বাদ দেয়া হয়েছে।
জীবনানন্দ দাশ এই কাব্যটি কবি কবি প্রেমেন্দ্র মিত্র ও সঞ্জয় ভট্টাচার্যকে উৎসর্গ করেছিলেন। ২৪ বৎসরের ব্যবধানে ১৯৭০-এ প্রকাশিত সিগনেট সংস্করণে দেখা যায় উৎসর্গ পত্রে পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। সিগনেটের কর্তৃপক্ষ লিখেদিয়েছিলেন: “শ্রীমতী মঞ্জুশ্রীকে -- বাবার আশীর্বাদ”। মঞ্জুশ্রী জীবনানন্দ দাশের কন্যা। পিতা তাকে আশীর্বাদস্বরূপ একটি গ্রন্থ উৎসর্গ করতেই পারেন। তবে স্মরণযোগ্য ১৯৫৪-তেই বাবা’র প্রয়াণ হয়েছিল। কবির মৃত্যুর চৌদ্দো বৎসর পরে সিগনেট প্রেস ‘মহাপৃথিবী’র ২য় সংস্করণ প্রকাশ করে।
মহাপৃথিবী কাব্যগ্রন্থের ভূমিকায় জীবনানন্দ লিখেছেন:
"মহাপৃথিবী"র কবিতাগুলো (বঙ্গাব্দ) ১৩৩৬ থেকে ১৩৪৫-৪৮-এর ভিতর রচিত হয়েছিলো; বিভিন্ন সাময়িকপত্রে বেরিয়েছে (বঙ্গাব্দ) ১৩৪২ থেকে ১৩৫০-এ। 'বনলতা সেন' ও অন্য কয়েকটি কবিতা বার হয়েছিলো "বনলতা সেন" বইটিতে। বাকী সব কবিতা আজ প্রথম বইয়ের ভিতর স্থান পেল। শ্রাবণ, ১৩৫১
জীবনানন্দ দাশের স্বীয় ভাষ্য অনুযায়ী ‘মহাপৃথিবী’র কবিতাগুলি বঙ্গাব্দ ১৩৩৬ থেকে ১৩৪৫-৪৮ (১৯২৯ থেকে ১৯৩৮-৪১ খ্রিঃ) অবধি যুগব্যাপী কালপরিসরে বিরচিত। তবে ‘বনলতা সেন’ ও অন্য কয়েকটি কবিতা বনলতা সেন নামীয় কাব্যগ্রন্থে পূর্বেই (১৯৪২ খ্রিঃ) গ্রন্থস্থ হয়েছিল। বনলতা সেন কাব্যগ্রন্থের প্রথম প্রকাশ পৌষ ১৩৪৯ (ডিসেম্বর ১৯৪২); কবি বুদ্ধিদের বসুর ‘কবিতাভবন’ থেকে প্রকাশিত ‘এক পয়সায় একটি’ গ্রন্থমালার অর্ন্তভুক্ত। বনলতা সেন-এর প্রথম সংস্করণে কবিতার সংখ্যা ১২। কবিতা: ১. বনলতা সেন ২. কুড়ি বছর পরে ৩. ঘাস ৪. হাওয়ার রাত ৫. আমি যদি হতাম ৬. হায় চিল ৭. বুনো হাঁস ৮. শঙ্খমালা ৯. নগ্ন নির্জন হাত ১০. শিকার ১১. হরিণেরা ১২. বিড়াল এবং জীবনানন্দ দাশ মহাপৃথিবীতে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন।
জীবনানন্দ ‘মহাপৃথিবী’র ৩৫(-১২) টি কবিতা হইতে ১৩টি তাহার শ্রেষ্ঠ কবিতার (১৯৫৪) নির্বাচন করিয়াছিলেন। শ্রেষ্ঠ কবিতা’র ‘মনোকণিকা’, ‘সুবিনয় মুস্তফি’ ও ‘অনুপম ত্রিবেদী’ পরবর্তীকালে মহাপৃথিবী’র সিগনেট সংস্করণে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।