このশিশুদের ১০০০ ইসলামিক নাম অর্থসহについて
সোনামণিদেরজন্যবাছাইকরা1000ইসলািিকনামএবঅঅর্থ。 এখনিডাউনলোডকরুন!
নবজাতক শিশুর জন্য পিতামাতার একটি বিশেষ দায়িত্ব হলো জন্মের সপ্তম দিবসে তার জন্য শ্রুতিমধুর ও সুন্দর ইসলামিক অর্থবহ নাম রাখা। বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের মুসলিমদের ন্যায় বাংলাদেশের মুসলিমদের মাঝেও ইসলামী সংস্কৃতির সঙ্গে মিল রেখে শিশুর নাম নির্বাচন করার আগ্রহ দেখা যায়।
ইসলামী নাম রাখার আগ্রহ থাকার পরও অজ্ঞতাবশত আমরা এমনসব নাম নির্বাচন করে ফেলি যেগুলো আদৌ ইসলামী নামের আওতাভুক্ত নয় বা সেগুলোর অর্থ ইসলাম সমর্থন করে না।
নামের মাধ্যমে শিশুর সঙ্গে পিতা-মাতার বন্ধন তৈরি হয়। পিতা-মাতা ও পরিবার ঐ নামেই ডাকে যে নাম তারা শিশুর জন্য নির্বাচন করে। তাইতো প্রাচীনযুগে বলা হতো- ‘তোমার নাম থেকেই তোমার পিতার পরিচয় পাওয়া যায়।’
শিশুর সুন্দর নাম রাখার গুরুত্বঃ-
এক জন শিশু জন্মগ্রহণ করার পর তার নাম রাখতে হয়। সে সময় তার যে নাম রাখা হয় সবাই তাকে সেই নামেই ডাকে। দুধ পানরত অবস্থায় তাকে ডাকলেও সে বুঝতে পারে, তাকে ডাকছে। তাই কেউ ডাকলে তার দিকে তাকায়। আর বড় হবার পর এ নামেই সে পরিচিতি লাভ করে।
হজরত আবু দারদা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্নিত যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কিয়ামতের দিন তোমাদেরকে ডাকা হবে তোমাদের নামে এবং তোমাদের পিতাদের নামে, তাই তোমাদের নামগুলি সুন্দর রাখো। (আবু দাউদ) সুতরাং শিশুর সুন্দর, অর্থবোধক, মার্জিত, ইসলামী ভাবধারায় উজ্জীবিত, সুন্দর নাম রাখা কর্তব্য। যা পরবর্তীতে শিশুর জীবনে প্রভাব পড়ে।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সামনে কোনো লোক আসলে তিনি তার নাম জিজ্ঞাসা করতেন। কারো নাম সুন্দর হলে তিনি খুশী হতেন। আর কারো নাম অসুন্দর হলে তিনি তা ইসলামিক নামে পরিবর্তন করে দিতেন।
নামের প্রভাবঃ-
মানুষের জীবনে নামকরণের রয়েছে বিরাট প্রভাব। হাদিসে এসেছে- হজরত সাঈদ ইবন মুসাইয়্যাব রাদিয়াল্লাহু আনহুর দাদা হাযন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট গেলে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তোমার নাম কি? তিনি বললেন আমার নাম হাযন (শক্ত)। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, না বরং তোমার নাম হওয়া উচিত সাহল (সহজ, সরল)। তিনি উত্তরে বলেন, আমার পিতা যে নাম রেখেছেন তা আমি পরিবর্তন করব না। সাঈদ ইবনু মুসাইয়্যাব বলেন, এরপর আমাদের পরিবারে পরবর্তীকালে কঠিন অবস্থা ও পেরেশানি লেগে থাকত। (বুখারি, মিশকাত) তাই অর্থ জেনে নাম রাখা জরুরি।
যেভাবে নাম রাখতে হয়-
আল্লাহর নামের আগে আব্দ যোগ করে আব্দুল্লাহ কারো নাম রাখা খুবই উত্তম। যেমন আব্দুর রহমান, আব্দুল করিম, আব্দুর রহিম, আব্দুল আউয়াল, আব্দুল কুদ্দুস প্রভৃতি। ডাকার সময় অবশ্যই আব্দ যোগ করেই ডাকতে হবে। অন্য কোনো শব্দ যোগেও নামকে শ্রুতিমধুর ও অর্থবহ করা যায়। যেমন-আতাউল্লহ, রুহুল্লাহ, নূরুল্লাহ, রহমতউল্লাহ, ইত্যাদি।
লক্ষ্যণীয়...
নামকরণে যে বিষয়টি জরুরি, পিতা-মাতা ভিন্ন ভিন্ন নাম না রেখে পরামর্শের ভিত্তিতে শিশুর অর্থবহ সুন্দর ও ইসলামিক একটি নাম রাখাই উত্তম। আবার অনেকে খুবই দীর্ঘ নাম রাখেন, যার কারণে পরবর্তীতে নানা ধরনের সমস্যা পোহাতে হয়। যাদের নাম খুব দীর্ঘ তারা অন্য কোনো দেশে গেলে অনেক সময় পরিচিত নামটি হারিয়ে যায়। এজন্য একজন শিশুর সুন্দর, অর্থবহ, সংক্ষিপ্ত, শ্রুতিমধুর নাম হওয়া ভাল। তবে কুনিয়াত (উপনাম) রাখা যেতে পারে। কেননা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অনেককে এ ধরনের কুনিয়াত বা উপনামে ডাকতেন।
আল্লাহ তাআলা আমাদের শিশুদের উত্তম নাম রাখার তাওফিক দান রুকন। এবং মন্দ ও খারাপ নামকরণ থেকে হিফাজত করুন। আমিন।