বাউল গানের বই

বাউল গান বাংলার লোকায়ত সংগীতের একটি অনন্য।। এটি বাউল সম্প্রদায়ের নিজস্ব সাধনগীত। আবহমান বাংলার প্রকৃতি, মাটি আর মানুষের জীবন জিজ্ঞাসা হয়ে ফুটে ওঠে বাউল গানে। আরো ফুটে ওঠে সাম্য ও মানবতার বাণী। এ ধারাটি পুষ্ট হয়েছে শতাব্দীর তান্ত্রিক বৌদ্ধ ধর্মের, রাধাকৃষ্ণবাদ, বৈষ্ণব সহজিয়া তত্ত্ব ও সুফি প্রভাবে। কোনো কোনো ইতিহাসবিদের মতে, বাংলাদেশে বাউল মতের উদ্ভব শতকে। . গবেষকদের মতে, নিজ দেহের মধ্যে ঈশ্বরকে পাওয়ার তীব্র থেকে বাউল ধারার সৃষ্টি। বাউল সাধকদের সাধনার মাধ্যম হচ্ছে গান। সাধকের কাছে-ভজনের গূঢ়তত্ত্ব প্রকাশ পায় গানের।। প্রত্যেক মানুষের অন্তরে যে পরম ঈশ্বরের ঈশ্বরের উপস্থিতি, সেই অদেখাকে দেখা আর ধরাই ধরাই বাউল-ভজনের।। বাউলের ​​ভূখণ্ড তার দেহ, পথপ্রদর্শক তার গুরু, জীবনসঙ্গী নারী, সাধনপথ বলতে সুর, আর মন্ত্র বলতে। ভিক্ষা করেই তার জীবনযাপন। ভিক্ষা না পেলেও তার দুঃখ নেই। তার যত দুঃখ মনের মানুষকে না পাওয়ার। Daha fazla bilgi için; দুঃখ যত গভীর হয়, গান হয় তত মানবিক। বাউলরা তাদের দর্শন মতামত বাউল গানের মধ্য দিয়ে করে থাকে।। বাউল মতে সতেরো শতকে নিলেও লালন সাঁইয়ের গানের উনবিংশ শতাব্দী থেকে বাউল গান গান জনপ্রিয়তা শুরু করে।। তিনিই শ্রেষ্ঠ বাউল গান রচয়িতা হিসেবে বিবেচতন ० ধারণা করা হয় তিনি প্রায় দু'হাজারের মত গান বেদেরমত গান বেদের রবীন্দ্রনাথ বাউল গান প্রভাবিত হয়েছিলেন যা তার রচনাতে করা যায়।। সাধারণত বাউলেরা যে সংগীত পরিবেশন করে তাকে বাউা বাউল গান বাউল সম্প্রদায়ের সাধনসঙ্গীত। এটি লোকসঙ্গীতের অন্তর্গত। . অনুমান করা হয় যে, খ্রিস্টীয় পঞ্চদশ শতক কিংবা আগে থেকেই বাংলায় এ গানের ছিল।।।। বাউল গানের প্রবক্তাদের মধ্যে শাহ্, পাঞ্জু শাহ্, সিরাজ শাহ্ এবং দুদ্দু শাহ্ প্রধান। এঁদের ও অন্যান্য বাউল সাধকের গান গান গ্রামাঞ্চলে ‘ভাবগান’ বা ভাবসঙ্গীত ’নামে পরিচিত। কেউ কেউ এসব গানকে শব্দগান ’ও‘ ধুয়া ’গান নামেও করেন।। বাউল গান সাধারণত দুপ্রকার দৈন্য ও প্রবর্ত। . এই ‘রাগ’ অবশ্য শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের রাগ নয়, ভজন-সাধনের।।