關於নারীর হজ ও উমরা
這是一個伊斯蘭孟加拉語應用。朝覲和副朝婦女。
হজ- নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই ফরজ। তবে নারীর হজ পুরুষের হজ থেকে ভিন্ন ভাব-উপলব্ধির ধারক। কেননা নারীর হজ্তএক হাদিস অনুযায়্তীজেহাদ তুল্য (দ্র: বুখারি : ১৫২০)। পক্ষান্তরে পুরুষের হজ কেবলই হজ। হজ পালনে নারীর অধিকার পুরুষের থেকে কোনো অংশেই কম নয়, বিষয়টি শক্ত ভূমিতে দাঁড় করানোর জন্যই হয়তো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মহাতুল মুমিনিন সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আদায় করেছেন বিদায় হজ। শুধু তাই নয়, হজ কর্মে বরং জড়িয়ে রয়েছে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থী নারীর ঈমান-বিধৌত স্মৃতি যা সাফা-মারওয়ার সাঈর আকারে আল্লাহর জিকিরের উদ্দেশে আদায় করতে হয় নারী-পুরুষ সকলকে সমানভাবে।
নারীর প্রকৃতি পুরুষ থেকে ভিন্ন। সে হিসেবে হজ পালন অবস্থায় নারীর আচার-অবস্থা-আচরণের কোনো কোনো ক্ষেত্রে দেওয়া হয়েছে বিশেষ কিছু দিকনির্দেশনা। হজ বিষয়ে সামগ্রিক ধারণা অর্জনের সাথে সাথে হজ পালনকারী নারীকে এ সব বিষয়ে সম্যক ধারণা অর্জন করা অত্যন্ত জরুরি।
আমাদের বর্তমান প্রকাশনাটি নারীর হজ ও উমরা বিষয়ে একটি মৌলিক গবেষণা। নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রযোজ্য বিধানাবলি বিশদভাবে বর্ণনার পাশাপাশি নারীর ক্ষেত্রে বিশেষভাবে প্রযোজ্য কিছু বিধানের অনুপুঙ্খ বর্ণনা সংবলিত তথ্যনির্ভর গবেষণাটি অত্যন্ত যত্নের সাথে সম্পন্ন করেছেন বিশিষ্ট শরিয়তবিদ ড. আবু বকর যাকারিয়্তাচেয়ারম্যান ফিকাহ বিভাগ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া। আল্লাহ তাকে জাযায়ে খায়ের দান করুন।
নারীর হজ উমরা বিষয়ে এ ধরনের স্বতন্ত্র গবেষণা আমার ধারণা মতে বাংলাদেশে এই প্রথম। গবেষণা-কর্মটি হুজ্জাজ চেরিট্যাবল সোসাইটির পক্ষ থেকে প্রকাশের উদ্যোগ নেয়ায় উক্ত সোসাইটির সকল কর্মকর্তা ধন্যবাদের দাবি রাখে। গবেষণা কর্মটি হজ পালনকারী নারীদের উপকারে আসলে আমাদের শ্রম সার্থক হয়েছে বলে মনে করব। আল্লাহ আমাদের মেহনত কবুল করুন। আমিন।
মহিলাদের হজের গুরুত্ব পুরুষদের থেকে আলাদা। কারণ তা তাদের জন্য জেহাদের সমতুল্য। হাদিসে এসেছে, আয়েশা রাদিয়াল্লাহু 'আনহা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করলেন: হে আল্লাহর রাসূল! আমরা তো দেখছি জেহাদই হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ আমল, তাহলে আমরা (নারীরা) জেহাদ করব না কেন? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তরে বললেন: "তোমাদের জন্য মাবরুর হজই হচ্ছে শ্রেষ্ঠ জেহাদ"।
এ হাদিস থেকে আমরা মহিলাদের জন্য হজের আলাদা গুরুত্ব বুঝতে পারি। এটি ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ হওয়ার পাশাপাশি মহিলাদের জন্য জিহাদ। সুতরাং যে মহিলা হজের জন্য বের হয়েছেন সে হাজী সাহেবাকে আমরা আমাদের অন্তর থেকে ধন্যবাদ জানাই। কারণ এমন অনেক মহিলা আছে যাদের উপর হজ ফরজ হয়েছে অথচ তারা তা জানে না। আবার এমন অনেক মহিলাও আছেন যাদের উপর হজ ফরজ হওয়ার পরে তা করতে গড়িমসি করতে করতে অপারগ অবস্থায় উপনীত হয়েছে। এরা অবশ্যই গুনাহ্গার হবে। আপনাকে আল্লাহ তার আনুগত্যের জন্য বাছাই করে নিয়েছেন সে জন্য আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করুন এবং বলুন: আল-হাম-দু-লিল্লাহ।
আশা করি বন্ধুরা নিজেরা ও আমল করবেন এবং শেয়ার করবেন যাতে অন্য বন্ধুরা ও পড়ে আমল করতে পারে ।




