關於মেয়ে পটানোর মন্ত্র - Meye Potanor Montro
বশকরারব্যবহারব্যবহারব্যবহারব্যবহারব্যবহারব্যবহার
কালো জাদু বা ব্ল্যাক ম্যাজিক বলতে কিছু কি আসলেই আছে?
কালো জাদু বা ব্ল্যাক ম্যাজিক বলতে কিছু উদভ্রান্ত কাজের বিধান আছে, কিন্তু এর কোন ফলাফল নেই। ভ্রান্ত বিশ্বাস।
মানুষ অন্ধকার ভয় পায়, আবর্জনার গন্ধে বিরক্ত হয়, ফুলের সুবাসে মুগ্ধ হয় এগুলো মানুষের বৈশিষ্ট্যের ভিত্তি। সুপ্রাচীনকাল থেকে বর্তমান সময়ের দিকে তাকালে মানুষদের বিশ্বাসের বিভিন্ন নমুনা দেখতে পাই,
দেবতার মূর্তি/প্রতিকৃতি গড়ে পূজা করে।
কল্পিত ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে।
ঈশ্বরকে/ঈশ্বরদের খুশি করতে জীবহত্যা করে।
প্রার্থনালয় বানিয়ে কোন অদেখা শক্তির কাছে নিজেদের সমর্পণ করে।
অদেখা শক্তিকে ভয় পায়, ভালবাসে, শ্রদ্ধা করে, হৃদয়ে ধারণ করে।
আর প্রায় সব রকম ধর্মীয় কাহিনী গুলোতে বিভিন্ন অলৌকিক বিষয়াদি লক্ষ্য করা যায়, যেখানে প্রধান শক্তি হিসেবে দুজন কারিগরকে দেখা যায়,
১. শুভ শক্তি
২. অশুভ শক্তি
শুভ শক্তিকে ঈশ্বর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, সেখানে ঈশ্বর হল জীবনের সৃষ্টিকর্তা, রক্ষাকর্তা, পালনকর্তা, খাদ্যদাতা।
আর অশুভ শক্তিকে শয়তান/জীন/প্রেত/পিশাচ ইত্যাদি কদর্যতা দিয়ে দেখানো হয়, যেখানে এই অশুভ শক্তিগুলো ঈশ্বরের বিরুদ্ধে লড়াই করে, ঈশ্বরের সৃষ্টিকে ধ্বংস করতে চায়, ক্ষতি করতে চায়। আর বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে দেখা যায় যে এই পৃথিবীতে অশুভ শক্তি ঈশ্বরের চেয়েও শক্তিশালী, ঈশ্বর এদের ক্ষমতা দিয়েছে দুনিয়াতে অরাজকতা করার। আর ঈশ্বর কখনো সৃষ্টিকে বশে আনতে চান না, কিন্তু অশুভ শক্তিগুলোর ক্ষমতা রয়েছে সকল সৃষ্টিকে বশীভূত করার।
ধর্মের এমন ইঁদুর-বিড়াল খেলা থেকে খুব স্পষ্ট ভাবে দেখা যায় দুনিয়াতে অশুভ শক্তিগুলোর ক্ষমতা খুবই বেশি। এ থেকে "কালো জাদুর" ধারণা এসেছে, জাদু হল মায়াজাল, যা দিয়ে ঈশ্বর সব সৃষ্টি করেছে, আর যখন এই মায়াজাল কে অশুভ উদ্দেশ্যে ঈশ্বরের অনুরূপ কাজে ব্যবহার করা হয় তখন তাকে খারাপ মায়াজাল/কালোজাদু/ তন্ত্র-মন্ত্র/ ব্ল্যাক ম্যাজিক ইত্যাদি নামে ডাকা হয়।
কালো জাদু বিষয়টিও এক রকম বিশ্বাস ছাড়া কিছু নয়। আর বিশ্বাসটি বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে ভ্রান্ত, আর মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে "কিছু তো আছেই!" ধাঁচের।
প্রাচীন পুঁথিতে শয়তান (ধারণা করা হয় এটা একমাত্র শয়তানের ছবি, শয়তানের বাইবেল, যা রচনা করতে সে সাহায্য করেছিল।)
আর ভারতীয় সভ্যতায় তান্ত্রিক, কাপালিক, পিশাচসিদ্ধ ইত্যাদি নামে বিভিন্ন অশুভ শক্তির উপাসকদের দেখা যায়। লোকশ্রুতি অনুযায়ী এরা অন্য জগতের জীবদের সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম, আর সাধনা দিয়ে তাদের বশে রাখে, আর লেলিয়ে দিয়ে যে কারো জীবন নিয়ে নিতে পারে।
শুভর বিরুদ্ধে অশুভের লড়াই চিরন্তন, হয়তো এই ধারণা থেকেই মানুষের বিশ্বাসে এসব অলৌকিক/আধিভৌতিক বিষয় উঠে এসেছে। কিন্তু বর্তমান যুগে জ্ঞান বিজ্ঞান অনেকদূর এগিয়েছে, তাই কোন বাচ্চা ছেলেও এগুলো হেসে উড়িয়ে দিতে পারে, যদিনা তার মগজধোলাই না হয়ে থাকে।
অন্ধকারে বা কোন কিছুতে ভয় পেলে আমাদের সমাজে দেখা যায় হিন্দুরা "বীজমন্ত্র" পাঠ করে, আর মুসলমানেরা "আয়াতুল কুরসি", এগুলো হল "ভালো যাদু" (ঈশ্বর প্রদত্ত), আর এসব অথবা অন্যকিছু ব্যবহার করে মানুষের ক্ষতি করার জন্য যা ব্যবহার করা হয় সেগুলো "কালো যাদু"।
কিন্তু সবই বিশ্বাস মাত্র, ভ্রান্ত বিশ্বাস।