關於যে কোন অভ্যাস গড়ে তোলার ৫টি উপায়ে
從小事做起這一步是最重要的,培養的karunakono習慣
ছোট আকারে শুরু
খুব ছোট আকারে শুরু করুন। কোনো অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য এই ধাপটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। একবারে কেবল একটি অভ্যাস শুরু করুন এবং তা খুব ছোট আকারে শুরু করুন। কিন্তু কত ছোট? মেডিটেশন করতে চান? মাত্র ২ মিনিট করুন।লেখক হতে চান? প্রতিদিন মাত্র ৫ মিনিট লিখুন। পুশআপ শুরুতে প্রতিদিন মাত্র ৫টা করে দিন। প্রতিদিন মাত্র ১ ধরনের সবজি খাওয়া শুরু করুন। যদি খুব ছোট আকারে শুরু করেন, তাহলে শুরু করার জড়তা কেটে যাবে সহজে। শুরু করার এই জড়তা বা আলসেমি কাটানোটাই সবচেয়ে কঠিন কাজ। লিও বাবুয়াটা নামক আমেরিকার বিখ্যাত ব্লগার ও জার্নালিস্ট বলেন, আমি নিজেকে বলতাম: জাস্ট জুতাটা পড়ে নাও আর দরজা খুলে বের হও, আর এভাবেই আমি দৌড়ানোর অভ্যাস গড়ে তুলেছিলাম। এভাবে খুব ছোট আকারে শুরু করেছিলাম বলেই আমি শেষমেশ অনেকগুলি ম্যারাথন আর একটি আল্ট্রাম্যারাথন দৌড়ে শেষ করতে পেরেছিলাম। মেডিটেশনের জন্য আমি নিজেকে বলতাম, জাস্ট কুশনের উপর বসে পড়ো।
টার্গেট সেট করা
প্রথমত, আপনি আপনার কোন অভ্যাসটি পরিবর্তন করতে চান বা নতুন কোন অভ্যাসটি গড়ে তুলতে চান তা শনাক্ত করতে হবে। একবার একটি নির্দিষ্ট অভ্যাস সনাক্ত করার পর, সে অভ্যাসটির সাথে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেয়ার জন্য আপনাকে একটি রুটিন তৈরী করতে হবে এবং সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে। কী করবেন আর কতদিনে করবেন, সেই টার্গেট সেট করে রাখুন। ধরুন, আপনি রাত জাগার অভ্যাস দূর করে “Early to bed and early to rise” এই মন্ত্রে নিজেকে দীক্ষিত করতে চান। তাহলে, প্রথমেই আপনাকে যা করতে হবে তা হল, এক সপ্তাহের জন্য নিজেকে একটি টার্গেট ফিক্সড করে দিতে হবে যে, আগামী এক সপ্তাহ আপনি রাত ১১টার পর আর জাগবেন না। এভাবে এক সপ্তাহ নিজেকে টার্গেট ফিক্সড করে দিয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করলে দেখবেন, সত্যিই রাত জাগার অভ্যাসটা আপনার অনেকাংশেই কমে গেছে!
কাল নয়, আজই
টার্গেট সেট করার পরেও বিলম্বের কারণে অনেক সময়ই নির্দিষ্ট কাজটা আর করা হয়না। তাই কাল করবো পরশু করবো করে ভালো অভ্যাস কখনোই গড়ে তোলা হয় না। সুতরাং, কোন আগামীকাল নয়। যা করতে চান সেটা আজ থেকেই। বরং এই মুহূর্ত থেকেই করতে শুরু করুন। একবার শুরু করে ফেললে কঠিন পর্বটাই সাড়া হয়ে গেলো। একটু একটু করে সফল হবেন আর নিজেকে পুরস্কার দেবেন। প্রতিদিন কী করবেন প্ল্যান করে রাখুন এবং যা করতে হবে সেটা কোন অবস্থাতেই বাদ দেবেন না। মস্তিষ্ককে বুঝিয়ে ফেলুন যে, এটা না করলে বিশাল ক্ষতি হয়ে যাবে আপনার। মস্তিষ্ক তাহলে নিজেই আপনাকে সচেতন করবে।
জবাবদিহিতা
অভ্যাস গড়ার ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা তৈরি করুন। জবাবদিহিতার জন্য একজন পার্টনার খুঁজে নিন। সেটা কোনো বন্ধুদের গ্রুপ হতে পারে। কিংবা হাঁটার বা দৌড়ানোর পার্টনারও হতে পারে। জবাবদিহি বাধ্য থাকলে আপনি অনেক সহজেই কাজটি করবেন। আলসেমি বা অন্যান্য জড়তা কাটাতেও এই ব্যাপারটি সাহায্য করবে।
উপভোগ করা
যা করছেন তা উপভোগ করুন। বাধ্য হয়ে করছেন এমন যেন মনে না হয়। কাজটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করুন। আপনি যদি কোনো কাজ উপভোগ করেন এবং কাজটি করার মুহূর্তে ভালো লাগা বোধ করেন তবে তা অভ্যাসে পরিণত হবে সহজে। কেবল টু-ডু লিস্টে রয়েছে বলে যদি আপনি কাজটা করেন, তবে সেই কাজে মোটিভেশন ফুরিয়ে যাবে অল্প কয়দিনেই! একটু একটু করে সফল হবেন আর নিজেকে পুরস্কার দেবেন। আর পুরস্কার হতে হবে পরম আকাঙ্ক্ষিত কিছু। যেমন প্রতিজ্ঞা করুন যে, ১০ দিন সিগারেট ছাড়া থাকতে পারলে নিজেকে একটা শখের জিনিস কিনে দেবেন। নিজে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে কোন কাছের মানুষের সাথে নিজের নতুন অভ্যাসটি গড়ে তোলার ব্যাপারটি শেয়ার করতে পারেন। বলা হয়ে থাকে, মানুষ অভ্যাসের দাস। কিন্তু যেই অভ্যাসের দাস আপনি হবেন, চাইলে সেই অভ্যাসকেও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব; যদি শুধুমাত্র আপনার ইচ্ছা থাকে!