這是一個伊斯蘭孟加拉語應用。希拉結婚。
উপায়, গতি, ব্যবস্থা, আশ্রয় ও অবলম্বন বিভিন্ন অর্থে আভিধানিকভাবে ব্যবহার হয়। পরিভাষায় হিল্লা বলা হয় : ‘কোন স্বামীর তিন তালাক প্রাপ্তা স্ত্রীকে এ শর্তে বিয়ে করা যে, বিয়ের পর সহবাস শেষে স্ত্রীকে তালাক দেবে, যেন সে পূর্বের স্বামীর জন্য হালাল হয়, সে তাকে পুনরায় বিয়ে করতে পারে’। এ বিয়ে বাতিল ও অশুদ্ধ, এর ফলে নারী তিন তালাকদাতা স্বামীর জন্য হালাল হয় না। ইমাম ইব্ন তাইমিয়াহ রাহিমাহুল্লাহ বলেন : এর উদাহরণ হচ্ছে, কোন ব্যক্তি যখন তার স্ত্রীকে তিন তালাক প্রদান করে, তখন স্ত্রী তার উপর হারাম হয়ে যায়, যতক্ষণ না স্ত্রী সে ব্যতীত অন্য স্বামীকে বিয়ে করে। যেমন আল্লাহ কুরআনে উল্লেখ করেছেন, যেরূপ এসেছে তার নবীর সুন্নতে এবং যার উপর সকল উম্মতের ঐক্যমত। যখন কোন ব্যক্তি এ নারীকে তালাক দেয়ার নিয়তে বিয়ে করে, যেন সে তার পূর্বের স্বামীর জন্য হালাল হয়, তখন এ বিয়ে হারাম ও বাতিল বলে গন্য। এভাবে বিয়ে করার পর তাকে রাখুক বা আলাদা করুক, অথবা আকদের সময় শর্ত করুক বা তার আগে শর্ত করুক, অথবা শাব্দিক কোন শর্ত ছাড়া উভয়ের মধ্যে শুধু প্রস্তাব আকারে ছিল, আর পুরুষ ও নারীর অবস্থা এবং মোহর ছিল শর্তের ন্যায়, অথবা এসব কিছুই ছিল না বরং পুরুষ ইচ্ছা করছে তাকে বিয়ে করবে, অতঃপর তাকে তালাক দেবে যেন তিন তালাকদাতার জন্য সে হালাল হয়, নারী ও তার অভিভাবকের সম্পূর্ণ অজান্তে, তিন তালাকদাতা জানুক বা না জানুক, সর্বাবস্থায় এ তালাক বাতিল হবে। যদিও হিল্লাকারী এ ধারণা করে যে, এটা একটা ভাল কাজ এবং তাকে তার স্বামীর নিকট ফিরিয়ে দিলে তাদের উপর বিরাট অনুগ্রহ হবে, কারণ তালাকের কারণে তাদের নিজেদের, তাদের সন্তানের ও তাদের দাম্পত্য জীবন ক্ষতিগ্রস্ত ও দুর্বিসহ হয়েছে ইত্যাদি। ইসলামের দৃষ্টিতে এ বিয়ের কোন মূল্য নেই, এটা বিয়ে হিসেবে গণ্য হয় না, এ বিয়ের ফলে তিন তালাকদাতার তাকে বিয়ে করা বৈধ হবে না, যতক্ষণ না কোন ব্যক্তি তাকে চুক্তি, প্রতারণা ও লুকোচুরি ব্যতীত আগ্রহসহ বিয়ে করে, সহবাসে লিপ্ত হয়ে একে অপরের সাথে মেলামেশা করে, অতঃপর যখন তাদের মাঝে বিচ্ছেদ সৃষ্টি হয় মৃত্যুর কারণে, অথবা তালাক বা খোলা’ করার কারণে, তখনই শুধু প্রথম স্বামীর জন্য এ নারীকে বিয়ে করা বৈধ। আর যদি এ হিল্লাকারী তাকে তালাক না দিয়ে স্থায়ীভাবে রাখতে চায়, তাহলে নতুনভাবে আকদের মাধ্যমে বিয়ে করা জরুরী, কারণ পূর্বের আকদ ছিল বাতিল ও ফাসেদ, তা দ্বারা এ স্ত্রীর সাথে অবস্থান করা বৈধ নয়। এটাই কুরআন ও হাদিসের ভাষ্য। এটাই সাহাবায়ে কেরাম, সকল তাবেয়ি ও তাদের পরবর্তী আলেমদের অভিমত।