关于অজানা ভবিষ্যতবাণী
Shah Lenamatullah(R)对孟加拉国局势和印度战争的预测
আল্লাহ প্রদত্ত ইলহাম এর জ্ঞান দ্বারা আজ থেকে প্রায় সাড়ে আটশত বছর পূর্বে (হিজরী ৫৪৮ সাল মোতাবেক ১১৫২ সালে খ্রিস্টাব্দে) শাহ নেয়ামতুল্লাহ রহঃ তার বিখ্যাত কাব্যগুলো রচনা করেন। আল্লাহর অনেক প্রিয় বান্দাগণ মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে গায়েবের বিষয় সম্পর্কে ইলহাম পেয়ে থাকেন। মনে রাখতে হবে যে, কোন সৃষ্টি জীবের নিজস্ব কোন ক্ষমতা নেই যে, সে ইচ্ছা করলেই গায়েবের বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারে। বরং আল্লাহ যাকে ইচ্ছা তাকে এই জ্ঞান দান করে থাকেন। উপমহাদেশের ইলমী জনক শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী রহঃ তার ইলহামী ইলম দিয়ে বিখ্যাত গ্রন্থ সাওয়াতিউল ইলহাম রচনা করেন। অনুরূপ হযরত শাহ নেয়ামতউল্লাহ রহঃ তার ইলহামী জ্ঞানের কিছু অংশ একটি কবিতায় প্রকাশ করেছেন। এটি লিখার পর থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত প্রতিটি ভবিষ্যৎবাণী হুবহু মিলে গিয়েছে। কবিতার ৩৭ নং প্যারা থেকে বিশেষভাবে খেয়াল করুন। কারণ এর পূর্বের লাইনগুলো অক্ষরে অক্ষরে মিলে যাওয়ায় শুধুমাত্র বর্তমান ও ভবিষতে কি ঘটতে পারে এটাই আমাদের দেখার বিষয়। কিছুটা দীর্ঘ হলেও ধৈর্য সহকারে পড়লে “গাজওয়াতুল হিন্দ” সম্পর্কে একটি ভাল ধারণা পাওয়া যাবে ইনশা আল্লাহ।
আমাদের দূর্ভাগ্যই বলা চলে, পাকিস্তানি মুসলিম ভাইদের মাঝে কাসীদাগুলো বেশ পরিচিত, প্রসিদ্ধ এবং সমাদৃত অথচ বাংলাদেশে এ সম্পর্কে আমাদের কোনো জ্ঞানই নেই। কবিতাটি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রকাশিত “কাসিদায়ে সাওগাত” বইতে পাবেন। এই ছাড়াও মদিনা পাবলিকেশন্স থেকে প্রকাশিত “মুসলিম পুনঃজাগরণ প্রসঙ্গ ইমাম মাহদি” বইতেও পাবেন। যারা উর্দু বুঝেন তারা এই নিয়ে ৮ পর্বের সিরিজ আলোচনা শুনতে পারেন, পাকিস্তানী বিশেষজ্ঞ জায়েদ হামিদ খুব সুন্দর করে ব্যাখ্যা সহকারে উনার সকল ভবিষ্যৎবাণী (ইলহাম) তুলে ধরেছেন। বাংলা ভাষায় রুহুল আমীন খান অনূদিত শাহ নিয়ামতুল্লাহ রহঃ এর একটি কবিতা ১৯৭০/৭১ এর দিকে এদেশে প্রকাশিত হয়েছিল।