মধ্যাহ্ন (উপন্যাস)
关于মধ্যাহ্ন (উপন্যাস)
最流行的小说作家艾哈迈德·胡马云主食吃午饭的孟加拉语小说。
উপন্যাসটির কাহিনী শুরু হয়েছে ১৯০৫-এ, গ্রামীণ প্রেক্ষাপটে। পঞ্চাশ বছর বয়স্ক প্রেৌঢ় বৃদ্ধ হরিচরণের পুকুর ঘাটে বসে আছেন - এমন একটি দৃশ্য দিয়ে আখ্যানভাগের সূচনা। আর মৃত্যুরোগ থেকে মুক্তি পেতে নগ্ন শশাঙ্ক পাল একটি গাছকে জড়িয়ে ধরে দাঁড়িয়ে আছেন - এমন একটি দৃশ্য দিয়ে প্রথম খন্ডের সমাপ্তি।
মধ্যাহ্ন দূর অতীতের আবহে লালিত। এ উপন্যাসের কাঠামোয় হুমায়ূন আহমেদ একটি ঐতিহাসিক পটভূমিকে পরোক্ষে আশ্রয় করিয়াছেন। ঐতিহাসিক উপন্যাস সচরাচর একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ঘটনা কেন্দ্র ক’রে আবর্তিত হয়। সেই অর্থে মধ্যাহ্ন কোনো ঐতিহাসিক উপন্যাস নয়। এ উপন্যাসে হুমায়ূন আহমেদ তার জন্মপূর্ববর্তী বিংশ শতাব্দীর একটি বিশেষ কালখণ্ড পুনর্নির্মাণ করার প্রয়াস পেয়েছেন মাত্র। ইতিহাস ঝুলে আছে সময় রেখার মতো, নিছকই মঞ্চের বাইরে, যদিও বেশকিছু চরিত্র বাস্তব। মধ্যাহ্নে ইতিহাস আছে, ঐতিহাসিকতা নেই।
ঐতিহাসিক পটভূমি নির্মাণের জন্য হুমায়ূন আহমেদ বিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগের বাংলাদেশের নেত্রকোনা এলাকা বেছে নিয়েছেন। ১৯০৫-এ কাহিনী শুরু হয়েছে বান্ধবপুর নিবাসী সফল ও সত্ ব্যবসায়ী হরিচরণ সাহাকে নিয়ে যিনি মুসলমান একটি বালককে আদর করার দোষে সমাজচ্যুত হন এবং পরবর্তীতে ঋষিসুলভ জীবন বেছে নেন। এর পর একে-একে যুক্ত হয়েছে এলাকার ব্রাহ্মণ অম্বিকা ভট্টাচার্য ঘটনাক্রমে মুসলমান হ’তে হ’লে যার নাম হয় সিরাজুল ইসলাম ঠাকুর; কাঠমিস্ত্রি সুলেমান; সুলেমানের রূপবতী জুলেখা তালাকের পর যে আশ্রয় নেয় বেশ্যাপল্লীতে যদিও শেষাবধি কোলকাতায় গিয়ে সে চানবিবি নামে সুকণ্ঠি গায়িকা হিসেবে খ্যাতি অর্জন করে; সুলেমানের রূপবান পুত্র জহির; সোনাদিয়ার জমিদার বাবু শশাংক পাল; অন্যতম সমাজপতি ন্যায়রত্ন রামনিধি চট্টোপাধ্যায়; শল্লার দশআনির মুসলমান জমিদার নেয়ামত হোসেন এবং তার অর্থে নির্মিত জুম্মাঘরের ইমাম মাওলানা ইদরিস; সোনাগঞ্জ লঞ্চঘাটের টিকেটবাবু ধনু শেখ পরবর্তীতে যে হয় লঞ্চের মালিক, জমিদার এবং বিপ্লবী জীবনলালকে ধরিয়ে দিয়ে লাভ করে ব্রিটিশরাজের দেয়া খানসাহেব উপাধি; কলিকাতা প্রবাসী মণিশংকর দেওয়ান; স্বদেশী-করা যুবক শশী ভট্টাচার্য যার প্রকৃত নাম কিরণ গোস্বামী এবং তাঁর সতীর্থ জীবনলাল চট্টোপাধ্যায়; কবিরাজ সতীশ ভট্টাচার্যের কন্যা যমুনা যাকে ধর্ষণের কারণে সমাজপতিরা বেশ্যালয়ে আশ্রয় গ্রহণের বিধান দেন; অদূরবর্তী সোহাগগঞ্জ বাজারের রঙিলা নটিবাড়ির মালেকাইন সরযুবালা; মোহনগঞ্জের বরান্তর গ্রামের মসজিদের ইমাম এবং গায়ক আব্দুল হক যার ডাকনাম উকিল মুনসি ও তার নিঃসন্তান স্ত্রী ‘লাবুসের মা’; মোহনগঞ্জের বাম গ্রামের বিদ্বান মানুষ শৈলজারঞ্জন মজুমদার এবং সর্বশেষে জোড়াসাঁকোর ব্রাহ্ম জমিদার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যিনি গান লেখেন, গানে সুর দেন। অনুপস্থিত থেকেও ভূমিকা রেখেছে হরিচরণ সাহার কন্যা শিউলি— সে শৈশবে পুকুরে ডুবে মারা গিয়েছিল।
মধ্যাহ্ন শুরু শেষ পর্যন্ত উপভোগ্য নানাকাহিনীর সমন্বিত অবয়ব। তবে একটি ঘটনা সর্বস্ব গল্পাবর্ত মাত্র। হরিচরণ সাহার ঋষি সুলভ চারিত্র্যের বিপরীতে জমিদার শশাংক পালের ভোগবাদিতা বা মাওলানা ইদরিসের নিষ্কলুষ ব্যক্তিমানসের বিপরীতে ধুরন্ধর ধনু শেখের নির্লজ্জতা ও শঠতার তুলনা অনেক প্রশ্ন জাগিয়ে তোলে। তালাকের পর কাঠমিস্ত্রি সুলেমানের স্ত্রী জুলেখা বাপের বাড়ি না গিয়ে বারবনিতার জীবন বেছে নেয়। তার এই কঠিন অথচ অকাতর সিদ্ধান্ত মানবমনের জটিল ও রহস্যময় দিকের প্রতি অঙ্গুলি নির্দেশ করে, পাঠককে ভাবিত করে। লেখকেরা এই সাধারণত এই জটিলতার ব্যাখ্যা দিতে অভ্যস্ত; তাঁরা ঘটনার কার্যকারণ অনুসন্ধানে আগ্রহী। তাতে মননশীলতার স্বাক্ষর রচিত হয়, রচনার পরিধি বৃদ্ধি লাভ করে। কিন্তু হুমায়ূন আহমেদ কেবল ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। ঘটনার অনুসন্ধানে না গিয়ে তিনি সেই সব ঘটনা টেনে এনছেন যা পূর্বজদের রচনায় স্থান লাভ করেনি। কখনো কখনো অতিলৌকিক বা আধিভৌতিক ঘটনার অনায়াস সংগ্রন্থনে জাদুবাস্তবতার মোহ সৃষ্টি হয়েছে।
最新版本1.0.0的更新日志
মধ্যাহ্ন (উপন্যাস) APK信息
মধ্যাহ্ন (উপন্যাস)历史版本
মধ্যাহ্ন (উপন্যাস) 1.0.0
在APKPure上极速安全下载应用
一键安装安卓XAPK/APK文件!