关于Ma hoyar golpo
添加了更多আন্টিএকদিন
খাওয়াদাওয়া শেষ হলেই বাকি তিনজন মোবাইল কানে কেউ বারান্দায়, কেউ ড্রয়িং রুমে, কেউ ঘরের কোণার দিকে আয়েশ করে আল্ট্রাসনিক সাউন্ডে প্রেমালাপ চালাতে থাকে। রাত বাড়ার সাথে সাথে আওয়াজ কমতে থাকে আর সম্বোধনটা পাল্টে গিয়ে বাবুসোনা, বেবি, লক্ষী, কিউটু মিউটু এরকম কত আজব আজব শব্দ বের হতে থাকে। আগে এসব শুনে হেসে গড়াগড়ি খেতাম, এখন বুঝছি, প্রেমের রাজ্যে কথাবার্তা উন্মাদীয়, ধরতে গেলে চলে না। এই সময়ে আমি গেম খেলি, গান গাই আর ওদের পাশে গিয়ে চিল্লাপাল্লা করে ডিস্টার্ব করি, ওরা অবশ্য আমাকে শাসায়, তোর ও একদিন পালা আসবে, তখন দেখিস, তিনজন মিলে জ্বালাব। আমি হাসি আর ভাবি মনে মনে, সাত মণ ঘিও জুটবে না, রাধাও নাচবে না বাছাধন !
বাসায় উঠার সপ্তাহ দুয়েক পর একদিন বাসার কেয়ারটেকার জানাল, বাসার মালিক নাকি পরের শুক্রবার আসবে , কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা দেখতে। এই কথা শুনেই তো বিপদে পড়ে গেলাম। বউ নেই সেইটা না হয় বুঝানো যাবে, কিন্তু বাসায় ঢুকলেই তো বুঝা যাওয়ার কথা। চার চারটা ব্যাচেলর ছেলে থাকে যেই বাসায় সেইটার সাথে গোয়াল ঘরের বিশেষ কোন পার্থক্য থাকেনা। অনেক জল্পনা কল্পনা করে ঠিক করা হল, এক সপ্তাহ পরে মিজানের মায়ের আর ছোট ভাইয়ের ঢাকায় আসার কথা, আন্টিকে বলে কয়ে যদি কয়েকদিন আগে আনানো যায়, তাহলেই সব সমস্যার সমাধান। মিজান বাসায় কথা বলে অবশ্য কিছুক্ষণ পর সেই সমস্যার সমাধান করে ফেলল। আন্টি একদিন পরেই আসতে রাজি হলেন।