关于পল্লী-সমাজ | শরৎ রচনাবলী
写在“帕里”Sarat钱德拉文学创作的最为突出的一个
পল্লী-সমাজ উপন্যাসটির প্রথম নয়টি পরিচ্ছেদ ১৩২২ বঙ্গাব্দের আশ্বিন, অগ্রহায়ণ ও পৌষ সংখ্যায় ভারতবর্ষ মাসিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এই নয়টি পরিচ্ছেদে উপন্যাসটি শেষ করার কথা ভাবলেও শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় পরে আরো দশটি পরিচ্ছেদ রচনা করেন, যা এক সঙ্গে ১৩২৩ বঙ্গাব্দের পৌষ সংখ্যায় ভারতবর্ষ মাসিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
১৯১৬ খ্রিস্টাব্দের ভারতবর্ষ পত্রিকার মালিক গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় অ্যান্ড সন্স এই উনিশটি পরিচ্ছেদ পুস্তকাকারে প্রকাশ করেন। জমিদারদের নিষ্ঠুর দ্বন্দ্বের মাঝে পড়ে অসহায় প্রজাদের চিরকালের হাহাকের আরো একবার ধ্বনিত হয়েছে "পল্লীসমাজে"। মহাজন ও জমিদার শ্রেণীর চিরকালের স্বার্থান্বেষী চরিত্র এখানে এসেছে।
"আগুনের শেষ, ঋণের শেষ আর শত্রুর শেষ রাখতে নেই"- এ চিন্তাধারার মধ্যে পড়ে যায় প্রগতিশীল সকল আবেগ ও কার্যকলাপও। তাতে নষ্ট হয় সমাজ, বাধাগ্রস্থ হয় সমাজ সচেতনতা। তবু রমেশরা থেমে থাকে না। তারা আছে বলেই এসব উপন্যাসের জয়ী পক্ষের নাম সত্যপক্ষ এবং সেই আলোকেই আমরা বাস্তব জীবনেও স্বপ্ন দেখি। সমাজের এতসব ঘুণে ধরা অনিয়ম আর সাথে সাথে প্রেমকেও একই ফ্রেমে নিয়ে শরৎচন্দ্র এভাবেই "পল্লীসমাজ" নামের এক নিখুঁত স্কেচ করেছেন।