دربارهی জসিম উদ্দিন সমগ্র
করুন নাম্বার জসিম উদ্দিনের জনপ্রিয় সৃষ্টি সমূহ
কবি ، শিক্ষাবিদ সালের ১ জানুয়ারি ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামে মাতুলালয়ে তাঁর জন্ম। নিবাস একই জেলার গোবিন্দপুর গ্রামে। আনসারউদ্দীন মোল্লা ছিলেন একজন স্কুল শিক্ষক। ফরিদপুর হিতৈষী স্কুলে জসীমউদ্দীনের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু হয়। তারপর ফরিদপুর জেলা থেকে প্রবেশিকা (১৯২১) ، রাজেন্দ্র কলেজ থেকে আই.এ (১৯২৪) বি.এ (১৯২৯) এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বাংলা ও সাহিত্যে সাহিত্যে এম এ এ ১৯৩১ এ এ এ এ এ এ এ
কর্মজীবন শুরু হয় পল্লিসাহিত্যের সংগ্রাহক হিসেবে। শ্রেণীতে অধ্যয়নকালে দীনেশচন্দ্র সেনের আনুকূল্যে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক এ কাজে তিনি নিযুক্ত হন পাস করার পর থেকে ১৯৩৭ সাল পর্যন্ত তিনি উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে দীনেশচন্দ্র সেনের অধীনে রামতনু লাহিড়ী গবেষণা সহকারী সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে লেকচারার পদে যোগদান করেন। ১৯৪৩ সাল চাকরি করার পর ১৯৪৪ সাল থেকে তিনি প্রথমে প্রাদেশিক সরকার এবং পরে পূর্ব সরকারের প্রচার কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব সালে এখান থেকে ডেপুটি ডাইরেক্টর হিসেবে অবসর গ্রহণ করে তিনি ঢাকার কমলাপুরে নিজ বাড়িতে স্থায়িভাবে বসবাস করেন
কবিত্ব শক্তির প্রকাশ ঘটে ছাত্রজীবনেই। থেকেই তিনি তাঁর কবিতায় পল্লিপ্রকৃতি ও পল্লিজীবনের সহজ-সুন্দর রূপটি তুলে ধরেন মাটি ও মানুষের সঙ্গে তাঁর অস্তিত্ব যেন মিলেমিশে এক হয়ে গিয়েছিল গিয়েছিল
‘কবিতা কবিতা রচনা করে তিনি বিপুল খ্যাতি খ্যাতি অর্জন করেন অধ্যয়নকালেই তাঁর এ কবিতাটি প্রবেশিকা বাংলা সংকলনের অন্তর্ভুক্ত হয়। হিসেবে এটি তাঁর এক অসামান্য সাফল্য।
সাহিত্যের নানা শাখায় কাজ করেছেন ، যেমন গাথাকাব্য ، খন্ডকাব্য ، নাটক ، স্মৃতিকথা ، শিশুসাহিত্য ، গল্প-উপন্যাস ইত্যাদি প্রথম কাব্যগ্রন্থ রাখালী প্রকাশিত হয় ১৯২৭ সালে। তাঁর প্রধান গ্রন্থগুলি হলো: নক্সী কাঁথার মাঠ (১৯২৯) ، সোজন বাদিয়ার ঘাট (১৯৩৩) ، রঙিলা নায়ের মাঝি (১৯৩৫) ، মাটির কান্না (১৯৫১) ، সুচয়নী (১৯৬১) ، পদ্মা নদীর দেশে (১৯৬৯) ، ভয়াবহ সেই দিনগুলিতে (১৯৭২) ، পদ্মাপার (১৯৫০) ، বেদের মেয়ে (১৯৫১) ، পল্লীবধূ (১৯৫৬) ، গ্রামের মায়া (১৯৫৯) ، ঠাকুর বাড়ির আঙিনায় (১৯৬১) ، জার্মানীর শহরে বন্দরে (১৯৭৫) ، স্মরণের সরণী বাহি (১৯৭৮) ، বাঙালীর হাসির গল্প ، ডালিম কুমার । তাঁর রচিত বাঙ্গালীর হাসির গল্প (দুই খন্ড ، ১৯৬০ ও ১৯৬৪) ও বোবা কাহিনী (১৯৬৪) সুখপাঠ্য
জারীগান (১৯৬৮) মুর্শীদা গান (১৯৭৭) নামে লোকসঙ্গীতের দুখানি গ্রন্থ সংকলন ও সম্পাদনা করেন সালে তাঁর সম্পাদনায় কেন্দ্রীয় বাঙলা উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক প্রকাশিত হয় জারীগান জারীগান গান একান্তভাবেই বাংলাদেশের নিজস্ব সৃষ্টি। গ্রন্থে জারি গানের মোট ২৩ টি পালা সংকলিত হয়েছে। ভূমিকায় জসীমউদ্দীন জারি গানের উৎস এবং বিভিন্ন এলাকার জারি গানের বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেন গ্রন্থটি তাঁর মৃত্যুর পরে প্রকাশিত হয়।
নক্সী মাঠ কাব্যটি দি ফিল্ড অব এমব্রয়ডার্ড কুইল্ট এবং বাঙালীর হাসির গল্প ফোক টেল্স অব ইষ্ট পাকিস্তান নামে ইংরেজিতে অনূদিত কবিতার ধারায় জসীমউদ্দীনের স্থানটি বিশিষ্ট। কবিতা অনাড়ম্বর কিন্তু রূপময়। ঐতিহ্য ও লোকজীবন জসীমউদ্দীনের কবিতায় নতুন রূপ লাভ করেছে। বাংলাদেশের মানুষের সুখ-দুঃখ ، হাসিকান্না ও জীবন সংগ্রামের কাহিনীই তাঁর কবিতার প্রধান উপজীব্য। কবিতায় দেশের মাটির সাক্ষাৎ উপলব্ধি ঘটে। ‘পল্লীকবি হিসেবে তাঁর বিশেষ ও স্বতন্ত্র পরিচিতি পরিচিতি রয়েছে গদ্য রচনাও বিশেষ আকর্ষণীয় সরল ، সরস ، গভীর ও আন্তরিকতার স্পর্শে তা মন ছুঁয়ে যায়।
ছিলেন প্রগতিশীল ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার অধিকারী এবং এ ধরণের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা মানসিকতার কারণেই দশকে পাকিস্তান সরকার রেডিও ও টেলিভিশন থেকে রবীন্দ্রসঙ্গীত প্রচার বন্ধের নিলে অনেকের মতো তিনিও এর তীব্র প্রতিবাদ জানান বাঙালির জাতিসত্তা বিকাশের আন্দোলন (১৯৬৬-১৯৭১) এবং সমাজতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার একজন দৃঢ় সমর্থক ছিলেন
বাংলা সাহিত্যের একজন বিশেষ সম্মানিত ও বহু পুরস্কারে পুরস্কৃত কবি। তিনি প্রেসিডেন্টের প্রাইড অব পারফরমেন্স পুরস্কার ، রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডক্টর অব লিটারেচার ডিগ্রি ، বাংলাদেশ সরকারের একুশে পদক ও স্বাধীনতা দিবস (মরণোত্তর) হন। তিনি ১৯৭৪ সালে বাংলা একাডেমী পুরস্কারের জন্যও মনোনীত হয়েছিলেন ، কিন্তু তা প্রত্যাখ্যান করেন সালের ১৩ মার্চ তিনি ঢাকায় মারা যান।
- গুহ
جدیدترین 1.2 چه خبر است
اطلاعات জসিম উদ্দিন সমগ্র APK
نسخههای قدیمی জসিম উদ্দিন সমগ্র
জসিম উদ্দিন সমগ্র 1.2
জসিম উদ্দিন সমগ্র 1.1

دانلود فوق سریع و ایمن از طریق برنامه APKPure
برای نصب فایل های XAPK/APK در اندروید با یک کلیک!