সূরা আর রহমান | বাংলা অর্থসহ ত

R আর রহমান | ৫৫ তম সূরার বাংলা অর্থসহ তাফসির ও এর ফজিলত سوره رحمان

আর রহমান | সূরা বাংলা অর্থসহ তাফসির

============================

# আর রহমান ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের তম সূরার সূরার এর অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ৭৮ এবং রূকু তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ৩ সূরা আর রহমান মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। [১] [২]

# এই সূরায় ও মানব জাতিকে উদ্দেশ্য করে বারবার প্রশ্ন করা "،" অতএব ، তোমরা তোমাদের রবের কোন কোন নিয়ামতকে অস্বীকার করবে؟ " আয়াতটি ৩১ বার রয়েছে।

# এই সূরার শিরোনাম ، যেটি সূরার প্রথম আয়াতে বলা হয়েছে যার অর্থ "পরম দয়াময় আল্লাহ" সূরার প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আল্লাহ তা আলার আলার রহমতের পরিচায়ক গুণাবলী ও বাস্তব ফলাফলের উল্লেখ উল্লেখ করা অন্যান্য সূরার মত এটিও (সূরা তওবা ব্যতীত) "বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম" (পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু দিয়ে) দিয়ে শুরু করা হয়েছে

# আর-রাহমান মক্কায় অবতীর্ণ মদীনায় অবতীর্ণ বলেও অভিমত পাওয়া যায় যার সূত্র আব্দুল্লাহ ইবনে ইক্বরিমাহ ، ইক্বরিমাহ এবং ক্বাতাদাহ। তাদেরই সূত্রে কথিত আছে যে এ সূরা মক্কায় অবতীর্ণ। নির্ভরযোগ্য বিভিন্ন হাদীসের ভিত্তিতে কুরতুবী সূরা আর রাহমানকে মক্কায় অবতীর্ণ হওয়ার পক্ষে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন উপস্থিতিতে রাসুল (স.) কর্তৃক এ সূরা আবৃত্তির ঘটনা মক্কায়ই ঘটেছিল। সূরা ক্বামারে আল্লাহর অবাধ্যতার শাস্তিতে পৃথিবীতে গযব গযব নাজিলের বর্ণনা করে "ফা কাইফা কা-না য়াযাবি ওয়া নুযুর" বাক্যের মাধ্যমে মানুষকে সতর্ক করা। ওয়া ঈমান আনুগত্যকে উৎসহিত করার লক্ষ্যে বলা হয়েছে "ওয়া লাক্বাদ ইয়াসসারনার ক্কুর'আন" এর বিপরীতে সূরা-রাহমানে আল্লাহপাকের ইহলোকিক ও পারলোকিক অবদানসমূহের কিছু উল্লেখ করা হয়েছে। [।] সূরা হিযর-এরও আগে এটি মক্কায় অবতীর্ণ। নবুয়তের ১০ বৎসরে জ্বিনদের উপস্তিতিতে সূরা-রাহমান রাসুল (স.) কর্তৃক আবৃত্তির কথা আহ্ ক্বাফে ক্বাফে রয়েছে (উল্লিখিত ২৯-৩২) সূরা আহ্‌ক্বাফেরও আগে এটি নাযিল হয়েছিল। ইবনে মাসঊদ ক্বাবায় মাক্বামে ইবরাহিমে দাঁড়িয়ে এ সূরা আবৃত্তি করতে থাকলে কাফিররা তাকে মুখে করতে করতে তিনি আহত হতে থাকেন এবং এক পর্যায়ে আবৃত্তি বন্ধ করতে বাধ্য হন। [২]

হওয়ার পরিপ্রেক্ষিত

মুহাম্মাদ (সঃ) কর্তৃক নবুয়াত লাভের পর মক্কার কাফেররা ইসলাম সম্পর্কে কৌতূহলী হয়। আল্লাহ নামটির সঙ্গে পরিচিত ছিল। আল্লাহ’র অন্যান্য নাম যেমন ‘রাহমান সম্পর্কে সম্পর্কে অবহিত না। যে সকল মূর্তির পূজা করতো সেগুলোর একাধিক নাম ছিল না। আল্লাহ র গুণবাচক ‘রাহমান শুনে শুনে বলাবলি করতো ওয়া মা রাহমান ،" "রাহমান রাহমান কী؟" এ নাজিলের মাধ্যমে আল্লাহ’র ‘রাহমান নামের নামের ব্যাখ্যা করা হয়েছে। [৪]

আর রহমান এর শানে নুযুল