হাইহিল থেকে সাবধান 정보
전 세계적으로, 발가락, 발 뒤꿈치, 신발 커버, 발목은 각종 질병에 대한 책임
যে কোনো অত্যাধুনিক শহরের রাস্তা-ঘাটে বা দামি রেস্তরাঁয় চোখে পড়ে পেন্সিল স্কার্ট বা লেগিন্সের সঙ্গে হাইহিলে আধুনিকার সাজ। কিন্তু মজার বিষয় হল মেয়েদের এই পোশাকের জন্য হাইহিলের উৎপত্তি হয়নি। ইতিহাস বলছে, পুরুষ ঘোড় সওয়ারদের ঘোড়া চড়ার সময় পাদানি থেকে যাতে পা পিছলে না যায় তার জন্য প্রথম হাইহিলের ব্যবহার শুরু হয়। আর তার প্রমাণ খ্রিস্ট-পরবর্তী নবম শতাব্দীর একটি বাটির গায়ে আঁকা ছবি দেখে জানতে পারা যায়।
আনুমানিক ষোলশ শতাব্দী নাগাদ নারীদের মধ্যে হাইহিলের চলন শুরু হয়। আর এখন তো কিটেন হিল থেকে হাই প্লাটফর্ম হিল, নানা রকম হাইহিলের প্রচলন হয়ে গেছে। হোক সে প্রতিদিনের কর্মক্ষেত্র বা ডিস্কের নাচের ফ্লোর অথবা পার্টি, আজ আধুনিকার সাজের একটি অন্যতম অঙ্গ হল হাইহিল। কিন্তু হাইহিল ফ্যাশন স্টেটমেন্ট হলেও দীর্ঘদিন ধরে এর ব্যবহার বিভিন্ন রকমের অসুখ ডেকে আনতে পারে।
প্রসঙ্গত, আজ সারা বিশ্বে পায়ের আঙ্গুলের, পাতার ও গোড়ালির নানা অসুখের জন্য দায়ি এই হিল জুতা। এখানেই শেষ নয় হাই হিলের কারণে হতে পারে আরও অনেক সমস্যা।
গাঁটে গাঁটে ব্যাথা
অন্যান্য জুতার মতো হিল জুতায় কোনও অভিঘাত শোষণ করার ক্ষমতা থাকে না। তাছাড়া চলার সময় শুধু সামনের দিক ছাড়া পায়ের পাশের দিকটা আড়ষ্ট করে দেয় হাইহিল জুতা। ফলে পা শুধু সোজা রাখা যায়। তাই পদক্ষেপের সমস্ত অভিঘাত এসে পড়ে হাঁটুর উপর। আমেরিকার অস্থিবিশেষজ্ঞদের মতে এর থেকেই শুরু হয় গাঁটে গাঁটে ব্যাথা এবং আরথ্রাইটিসের সমস্যা। তবে হিলের কারণে শুধু হাঁটুর উপর চাপ পরে না, পরে গোড়ালির উপরেও। কাজেই সারাদিন হাইহিল পড়ে কাটানোর পরে পায়ের প্রতিটি গাঁটে ব্যাথা হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়।
পেশীর সমস্যা দেখা দেয়
টা হিল জুতার পরার সব থেকে খারাপ দিক। বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘ সময় যাবত হিল জুতা ব্যবহার করলে গোড়ালি অনেকটা উঁচু হয়ে থাকে। ফলে গোড়ালির সাথে যে পেশীগুলি টেনডনের মাধ্যমে যুক্ত, তারা ছোট হয়ে যায় এবং পেশীগুলির ভিতরে নানা পরিবর্তিত হতে শুরু করে। এই কারণে পায়ে প্রচণ্ড যন্ত্রণা এবং পেশীতে টান ধরে।
কোমরে ব্যাথা
হাইহিল জুতা আপনার গোড়ালিকে উঁচু রেখে কোমরকে অস্বাভাবিক ভাবে সামনে ঠেলে রাখে। প্রকৃতির নিয়মের বিপরীতে দীর্ঘ দিন ধরে এমন অস্বাভাবিক ভঙ্গিতে হাঁটা-চালার কারণে কোমরে প্রচণ্ড ব্যাথার সৃষ্টি হয়।
পায়ের পাতা কঠিন হয়ে যায়
প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে গোড়ালি শরীরের সমস্ত ভার বহন করে। সেখানে পায়ের পাতা আপনাকে ভারসাম্য দেয় তার নরম প্যাডের মাধ্যমে। কিন্তু হাইহিল প্রকৃতির এই স্বাভাবিক নিয়মকে লঙ্ঘন করে। উল্টো করে দেয় গোড়ালি আর পায়ের পাতার কাজ। আসলে হাইহিল পড়ার সময় পায়ের পাতা নেয় সমস্ত শরীরের ভার, আর গোড়ালি তখন সহায়ক হয় মাত্র। ফলে ধীরে ধীরে পায়ের পাতা থেকে এই প্যাডের মতো মাংসল অংশটি সরে যায় বা ক্ষয়ে যায়। কোন কোনও প্লাস্টিক সার্জেন এই সময় বোটক্স নামের একটি পদার্থ পায়ের পাতায় ঢুকিয়ে দেন, যাতে এর মাধ্যমে পুনরায় পায়ের পাতা নরম হয়। অন্যথায় নিদারুণ যন্ত্রণার সৃষ্টি হতে পারে।
গোড়ালির সমস্যা
খালি পায়ে হাঁটলে পায়ের পাতা ও গোড়ালির উপর দেহের ওজনের ভারসাম্য বজায় থাকে। ফলে গোড়ালির অস্থিসন্ধিতে কম চাপ পড়ে। কিন্তু, হাইহিল জুতো পরলে পায়ের পাতা ও গোড়ালির ভারসাম্য নষ্ট হয়, সেই সঙ্গে গোড়ালির অস্থিসন্ধিতে এসে পড়ে পুরো শরীরের ভার। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই গোড়ালি মচকে যাওয়ার আশঙ্কা বাড়ে, সৃষ্টি হয় প্রচণ্ড যন্ত্রণার।
নখকুনির সমস্যা হয়
এ সমস্যায় প্রায় অনেকেই ভুগে থাকেন। সাধারণত হাইহিল জুতার সামনের দিকটি ছড়ানো না হয়ে নৌকার মতো সরু হয়। উল্টোদিকে, আপনার আঙ্গুলগুলি খানিকটা চৌক আকারের হয়ে থাকে। ফলে সারা শরীরের ভার আঙ্গুলগুলিকে আরও বাইরের দিকে ঠেলতে থাকে। এতে নখকুনি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। অর্থাৎ পায়ের নখ, মূলত বুড়ো আঙ্গুলের নখ সোজা না বেড়ে ঢুকে যায় আঙ্গুলের মাংসের ভিতরে। আর এমনটা হলে কেমন যন্ত্রণা হতে পারে, তা নিশ্চয় আপনার জানা আছে।
হিল পড়লে এই বিষয়গুলি
হিল পড়ার নানারকম অপকারিতা অবশ্যই আছে। তাই বলে, হিল জুতাকে ফ্যাশন স্টেটমেন্ট থেকে একেবারে বাদ দিয়ে দেবেন না। বরং জেনে নিন কি কি সাবধানতা অবলম্বন করলে সুস্থ থেকেও হিলের ফ্যাশন বজায় রাখতে পারবেন।