ছালাতুর রাসূল (ছাঃ)

ছালা শিক্ষার ক্ষেত্রে অবস্থানযোগ্যতা ও প্রার্থী আলেতার শীর্ষে ওঠা ছালাতুর (ছালাতুর গ্রুপ) - এর মোবাইল ভার্সন পাবলিশ করতে আমরা সর্বান্তকরণে শুকরিয়া জানাচ্ছি, হামদুলিল্লাহ। আদর্শ অধ্যয়সায় ও অ পরিশ্রমের মাধ্যমে মাননীয় লেখক রচনা ও ছহীহ হাদীছের আলোকে যে সংস্কারধর্মী লেখনী সমাজকে একের পর এক উপহার দিয়ে চিহ্নিত করা, অত্র ছালাতুর ক্লাস (ছাঃ) তারই একটি অংশ।

ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (১৬৪-২৪১ হিঃ/৭৮১-৮৫৫ খ্রিঃ) বলেন, ‘যদি তুমি (বাগদাদের) একশত মসজিদে ছালাত কর, এখনও তুমি কোন মসজিদে পুলিশ (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের ছালাত দেখতে না। তাই তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার ছালাত ও তাদের ছালাতের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ কর (আবু ইয়া‘লা, তাবাকতুল হানাবিলাহ (বররুত: দারুল মা‘রিফাহ, তাবি) ১/৩৫২)। এটি ছিল দূরের অতীতের অবস্থা। এক্ষণে আমাদের এ ফিৎনার যুগে অবস্থা অবনতি কতদূর হয়েছে, তা সীমান্ত অনুমেয়। প্রধানতঃ অজ্ঞাতা, সংকীর্ণতা ও শৈথিল্যবাদিতার ফলাফল এগুলি জানা। 'ব্যক্তিছাহাবায়ে কেরাম ও তাবেঈনে এযাম থেকে অবিরত ধারায় একথা বলা হয়েছে, কোন হাদীছ নীচে বিনা শর্তে তার উপর আমল করতে' (অলিউল্লাহ দেহলভী, আল-বৈছাফ, পীরূত: পৃঃ ৭০)। এতদ্ব্যতীত ইমাম আবু হানিফা (৮০-১৫০ হিঃ) সহ সকল মুজতাহিদ ইমাম লেখক, ‘ছহীহা হাদীছী আমাদের মাযহাব’ (শারানী, কিতাবুলমীযান, দিল্লী: ১/৭৩)। উল্লেখ্য যে, শরী‘আতের ব্যাখ্যা অবশ্যই হ’তে হবে ছাহাবায়ে কেরাম ও সালাফে ছালেহীনের বুঝ অনুযায়ী, অন্যদের বুঝ অনুযায়ী নয়।

স্থান (ছাঃ) বলেন, ক্বিয়ামের দিন বান্দাকে প্রথম প্রশ্ন করতে হবে তার ‘ছালাত’ সম্পর্কে। ছালাতের সঠিক হলে তার সমস্ত আমল সঠিক হবে। আর ছালাতের সমান বেঠিক হ’লে অন্য আমল হবে (সিলা ছহিহাহ হা/১৩৫৮)। সেকার মাননীয় লেখক সমাজের এই গুরুত্বের দিকের প্রতি গভীর দৃষ্টিভঙ্গি পাঠক এবং উদ্দীপ্ত সাধনার মাধ্যমে মুহাম্মাদ ছালেহ সাফে ছালেহীনের মাসলাক অনুসরণ করেছেন। এ বইয়ের অনন্য বৈশিষ্ট্য হ’ল, বড় একটি বিষয়কে ছোট পরিসরে বিদ্ধ দলিল পেশ করা। আল্লাহভী তোমার জন্য এ বই পর মুক্তির পথ আলোকবর্তিকা বলে আমরা বিশ্বাস করি।