হযরত আমীর মু‘আভিয়া (রা.)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।

নাহমাদুহু ওয়া নুসাল্লী ওয়া নুসাল্লিমু ‘আলা রসূলিহিল করীম ওয়া ‘আলা-আ-লিহী ওয়া সাহবিহী আজমা‘ঈন।

হযরত আমীর মু‘আভিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু অতি উচ্চ মর্যাদাশীল সাহাবী। নেতা ও তাঁর রসুল তাঁকে। একজন ব্যক্তির কাছের অবস্থা ও প্রকৃতিকে ভালোভাবে বোঝানো বাছাই করা বলার বিষয়ে সে সম্পর্কে নেওয়ার বিষয়ে একজন ব্যক্তিকে বোঝার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। অন্যথায় ভুল নির্ধারণে উপনীত অনিবার্য। সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভুলের কারণে মানুষ কখনো সীমালংঘনকারী হতে পারে। কারণ, অপার্থিব কোন জিনিষের কোন বিষয় নিজের বোধগম্য না হলে নির্বিচারে সেচ্ছোভেভে ও ক্রোধে ক্রোধান্বিত ও গ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্তে ভুল পড়ে আর সীমালংঘন করে সীমালংঘন করে। তাই, ক্রোধ্বিত ও ইতস্তত: বিচার কার্য কার্যকর করাও নিয়ন্ত্রণে খোলা। ভালোভাবে বল্ল-বাছাই করে পরিস্থিতি নিয়ে, দুই দিকে দলীল-প্রমাণকে সামনের দিকে ওঠার ওপারঞ্জন শথিল্য (ইফরাত ও তাফরিত্ব) বর্জন করে, এ দুইয়ের মধ্যবর্তীতে দৃঢ়ভাবে অবস্থান করে নিজের জ্ঞান গ্রহণ করা এবং বিবেক সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে সে গ্রহণ করা। করেছেন তা নেওয়া নেওয়াই। আমরা তোমায়। ইহুদীদের সীমালংঘন (ইফরাত্ব) ও খিস্তানদের তাফরিত্ব (শৈথিল্য) অবলম্বন-এর মধ্যবর্তীতে সঠিক জায়গায় আমাদের অবস্থান। কারণ, কিতাব কাউন্সিল, সুন্নাতে রসূলিল্লাহ, ইজমা’-ইম্মা ও ক্বিয়াস-ই শর‘ঈর আমরা নিষ্ঠাবান অনুসারী।

এ পোর্টালে আমি হযরত আমির মু‘আভিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু সম্পর্কে আলোচনা করার প্রয়াস পাবো। হযরত আমীর মু‘আভিয়া একাধারে অভিজাতীয় (ক্বরোঈশী), শীর্ষস্থানীয় সাহাবী, জ্ঞানী, গুণী, ওহীলিক, ন্যায়পরায়ণ শাসক, মুজতাহিদ ও মুত্তাক্বী ইত্যাদি। সর্বাগয় তিনি একজন অতীব সম্মানিত ব্যক্তিত্ব। ইসলামের দৃষ্টিতে এবং ন্যায়বিচারের নিরীক এক ব্যক্তি সম্মান এবং সম্মান পাওয়া আর সম্মান ঊর্ধ্বে শুধু যথেষ্ট নয়। তাঁর চরিত্র এবং কর্মও নিষ্কলুষ। তিনি একজন নিষ্ঠাবান সাহাবী-ই রসুল।

বাকী প্রশ্নো-হযরত আমীর মু‘আভিয়ার উত্তরী ওলাভিষিক্ত পুত্র ইয়াস্থযীদ প্রসঙ্গ। তার চরিত্র, বিশ্বাস (আক্বিদা), কর্মন্ড ও ইসলামের নিদর্শনাবলীর প্রতি অবজ্ঞা এগপায় ধর্ম সে মহাপী, ধিক্কৃত ও ঘৃণিত ব্যক্তি; অনেকের নিজস্ব অভিশপ্ত। এখন প্রশ্ন করা তার কারণে তাঁর হযরত আমীর মু‘আভ রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুর সন্তান এবং তাঁর শানে শালীনতা বিবর্জিত মন্তব্য ও মন্তব্য করতে হবে? সংক্ষিপ্ত শব্দের প্রার্থী- ‘না’। ইয়াযদের কারণে হযরত আমীর মু‘আভিয়ার প্রতি কোন রূপ অসম্মান প্রদর্শন ও সমীচিন হবে না। কারণ, তিনি যদি ন্যায়সঙ্গত গ্রহণযোগ্যতা রূপান্তরিত হন, তাহলে একদিকে ইসলামের অনেক বিষয় প্রশ্নবিদ্ধ হবে, গুরুতর সমন্বিত প্রদর্শনকারী উচিৎ হবে, বিবেকহীনতা এবং পরণতা-শূন্যতা ইত্যাদি উপস্থিত দুষ্ট এবং গুনাহগার। তাই হযরত আমীর মু‘আভিয়ার সিদ্ধান্ত নিতে কঠোর সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। নিজে নিজে নেওয়ার আগে মহান সাহাবী গণের সম্পর্কে ধারণা ক্বোরআনের বাণী রয়েছে, খোদ রসূল-ই আক্‌রাম সর্বোচ্চ তা'আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম হযরত আমীর মু'আভিয়াকে ভালোবাসতেন, অন্য সাহাবা-ই-কেরাম তাঁকে মূল্যায়ন করতে, আমাদের বুযুর্ধে ওলামা-মাশাখ এবং দ্বৈত শরীয়তের রাজনীতি ও বরেণ্য ব্যক্তিবর্গের সিদ্ধান্ত কি? এ ক্ষেত্রে অন্য বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়া হবে। অন্যথায় মহাবিপদ-তথা উচ্চতর অশুভ নেটনির ইশাইন অনিবার্য।

এত সহজে আমরা হযরত আম মু‘আভিয়া সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানি, তারপর তাঁর আমার কথাকথিত অভিযোগের চুলচেরা বিচার-বিশ্লেষণের ন্যায় কিতাবাদির আলোচনা করি। সুখ যে, এ পুস্তকে মুসলিম বিষয়ে বিস্তারিত ও সপ্রমাণ আলোচনা করা হয়েছে এবং ইসলামের চতুর্দলী আলোকে এ জরুরী পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তাই আশা করি পুস্তকটা পড়ে পাঠকসমজ অত্যন্ত উপকৃত হবেন। আমাদের এ প্রয়াসকে ক্ববুল করুন! আ-মী-ন।

- (মাওলানা) মুহাম্মদ আবদুল মান্নান