হযরত আমীর মু‘আভিয়া (রা.)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।

নাহমাদুহু ওয়া নুসাল্লী ওয়া নুসাল্লিমু 'আলা রসূলিহিল করীম ওয়া' আলা আ-লিহী ওয়া সাহবিহী আজমাআজমা '.

হযরত আমীর মুমু রাদ্বিয়াল্লাহু তাতা আনহু আনহু অতি উচ্চ মর্যাদাশীল সাহাবী. আল্লাহ্ ও তাঁর রসূল তাঁকে ভালবাসেন। প্রতিটি ব্যক্তি যা বস্তুর আসল অবস্থা ও প্রকৃতি যথাযথভাবে সম্পর্কে জেনে করে কিংবা যথাযথ পন্থায় সে সম্পর্কে নেওয়াই ওই ব্যক্তি ব্যক্তি বা বস্তু সম্পর্কে নেওয়াই ওই ব্যক্তি কাজ বা বস্তু সম্পর্কে সিদ্ধান্ত বুদ্ধিমানের কাজ. অন্যথায় ভুল সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া অনিবার্য। সিদ্ধান্ত গ্রহণে ওই ভুলের কারণে মানুষ কখনো সীমালংঘনকারী সীমালংঘনকারী হয়ে. কারণ, কারো কিংবা কোন জিনিষের কোন বিষয় নিজের এ ক্ষোভে ও কিংবা নির্বিচারে আর এ ক্রোধান্বিত অবস্থায় সিদ্ধান্ত গ্রহণে পড়ে আর এ ক্রোধান্বিত সীমালংঘন সিদ্ধান্ত গ্রহণে সে ভুল করে ও সীমালংঘন করে গ্রহণে সে ভুল করে ও সীমালংঘন করে বসে তাই, ক্রোধান্বিত ও ইতস্তত: অবস্থায় বিচার কার্য সম্পন্ন করাও কঠোরভাবে নিষিদ্ধ. যথাযথভাবে যাচাই-বাছাই করে কিংবা প্রকৃত অবস্থা জেনে নিয়ে, উভয় দিকের দলীল-প্রমাণকে সামনে রেখে অতিরঞ্জন ও শৈথিল্য (ইফরাত ও তাফরীত্ব) বর্জন করে করে এ উভয়ের মধ্যবর্তীতে দৃঢ়ভাবে অবস্থান সুস্থ বিবেক সম্পন্নরা সে করা যে সিদ্ধান্ত সুস্থ সুস্থ বিবেক সম্পন্নরা সে ক্ষেত্রে যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ গ্রহণ সম্পন্নরা সম্পন্নরা সে ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণ গ্রহণ করেছেন তা মেনে নেওয়াই অপরিহার্য। আমরা তো মুসলমান। ইহুদীদের সীমালংঘন (ইফরাত্ব) ও খিস্টানদের তাফরীত্ব (শৈথিল্য) অবলম্বন-এর মধ্যবর্তীতে একেবারে সঠিক জায়গায় আমাদের অবস্থান. কারণ, কিতাবুল্লাহ, সুন্নাতে রসূলিল্লাহ্, ইজমা'-ই উম্মত ও ক্বিয়াস-ই শরশরঈর আমরা নিষ্ঠাবান অনুসারী.

এ নিবন্ধে আমি হযরত আমীর মুমু রাদ্বিয়াল্লাহু রাদ্বিয়াল্লাহুতা আনহু আনহু আলোচনা করার করার প্রয়াস করার পাবো পাবো পাবো. হযরত আমীর মুমুআভিয়া একাধারে অভিজাত অভিজাত বংশীয় (ক্বোরাঈশী), শীর্ষস্থানীয় সাহাবী, জ্ঞানী, গুণী, ওহী লিখক, ন্যায়পরায়ণ শাসক, মুজতাহিদ ও মুত্তাক্বী ইত্যাদি. এসব বিবেচনায় তিনি একজন অতীব সম্মানিত ব্যক্তিববব্যক্তিবব ইসলামের দৃষ্টিতে এবং ন্যায়বিচারের নিরীখে এক ব্যক্তি সম্মান এবং প্রশংসা পাওয়া সমালোচনার ঊর্দ্ধে ঊর্দ্ধে থাকার জন্য শুধু নয় বরং ঊর্দ্ধে থাকার অপরিহার্যও অপরিহার্যও অপরিহার্যও. তাঁর চরিত্র এবং কর্মও একেবারে নিষ্কলুষ। তিনি ছিলেন একজন নিষ্ঠাবান সাহাবী-ই রসূল।

বাকী রইলো-হযরত আমীর মুমু উত্তরসূরী উত্তরসূরী ও স্থলাভিষিক্ত পুত্র ইয়াযীদ প্রসঙ্গ. তার চরিত্র, ধর্ম-বিশ্বাস (আক্বিদা), কর্মকান্ড ও ইসলামের নিদর্শনাবলীর প্রতি অবজ্ঞা ইত্যাদি বিবেচনায় সে ছিলো, ধিক্কৃত ও ঘৃণিত ব্যক্তি; অনেকের মতে অভিশপ্ত। এখন প্রশ্ন হলো তার কারণে তাঁর পিতা হযরত আমীর মু তাঁর তা শালীনতা আনহুর ও আলোচনা বৈধ হবে শালীনতা বিবর্জিত মন্তব্য ও আলোচনা বৈধ হবে কিনাহবে? সংক্ষিপ্ত ভাষায় এর জবাব হলো- ‘না’। ইয়াযীদের কারণে হযরত আমীর মু আভিয়ার প্রতি কোনরূপ অসম্মান অসম্মান বৈধ সমীচিন হবে হবে হবে না. কারণ, তিনি যদি সমালোচিত কিংবা গ্রহণযোগ্যতায় কোনরূপ ত্রুটিপূর্ণ হন তাহলে তাহলে ইসলামের ইসলামের অনেক মৌলিক বিষয় প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে, অন্যদিকে ওই অসম্মান প্রদর্শনকারী হবে উগ্রতা, বিবেকহীনতা এবং ন্যায়পরায়ণতা-শূন্যতা ইত্যাদি দোষে দুষ্ট এবং এবং গুনাহ্গার. সুতরাং হযরত আমীর মুমু ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে নিতে অত্যন্ত অবলম্বন করতে করতে হবে. নিজে সিদ্ধান্তে নেওয়ার আগে মহান সাহাবীগণ সম্পর্কে পবিত্র ক্বোরআনের বাণী কি রয়েছে সম্পর্কে খোদ্ রসূল ই আক্রাম সাল্লাল্লাহু তাআলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ওয়াসাল্লাম হযরত আমীর আভিয়াকে ভালবাসতেন ভালবাসতেন কিনা অন্যান্য সাহাবা ই কেরাম তাঁকে কিভাবে মূল্যায়ন করতেন আমাদের আমাদের ই কেরাম কিভাবে মূল্যায়ন করতেন, আমাদের বুযুর্গানে দ্বীন, ওলামা-মাশাইখ এবং এবং শরীয়তের নির্ভরযোগ্য ও বরেণ্য ব্যক্তিবর্গের সিদ্ধান্ত সিদ্ধান্ত? এ ক্ষেত্রে এসব বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়াই হবই হবই নতই অন্যথায় মহাবিপদ-তথা অতি অশুভ পরিণতির সম্মুখীন হওয়া হওয়া অনিবার্য.

সুতরাং আসুন আমরা প্রথমে হযরত আমীর মুমুআভিয়া সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানি, তারপর তাঁর বিপক্ষে তথাকথিত অভিযোগগুলোর চুলচেরা-বিশ্লেষণ নির্ভরযোগ্য কিতাবাদির আলোকে করি. সুখের বিষয় যে, এ পুস্তকে এসব বিষয়ে বিস্তারিত ও সপ্রমাণ আলোচনা করা হয়েছে এবং ইসলামের চতুর্দলীলের আলোকে প্রসঙ্গে জরুরী পরামর্শও দেওয়া হয়েছে. তাই, আশা করি পুস্তকটা পড়ে পাঠকসমাজ অ৤্য২্ত উপক Vergiss es! আ-মী-ন।

- (মাওলানা) মুহাম্মদ আবদুল মান্নান