খনা জ্যোতির্বিদ্যায় পারদর্শী এক বিদুষী নারী যিনি বচন রচনায় পারদর্শী ছিলেন।
খনা জ্যোতির্বিদ্যায় পারদর্শী এক বিদুষী নারী যিনি বচন রচনায় পারদর্শী ছিলেন। তাঁর ভবিষ্যতবাণীগুলোই খনার বচন নামে বহুল পরিচিত এবং সমাদৃত। আনুমানিক ৮০০ থেকে ১২০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে তাঁর আবির্ভাব হয়েছিল। কিংবদন্তি আছে, তিনি বাস করতেন পশ্চিমবঙ্গের অধুনা উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বারাসাতের দেউলিয়া গ্রামে। একদিন পিতা বরাহ এবং পুত্র মিহির আকাশের তারা গণনায় সমস্যায় পরলে, খনা এ সমস্যার সমাধান দিয়ে রাজা বিক্রমাদিত্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। গণনা করে খনার দেওয়া পূর্বাভাসে রাজ্যের কৃষকরা উপকৃত হতো বলে রাজা বিক্রমাদিত্য খনাকে দশম রত্ন হিসেবে আখ্যা দেন। খনার বচন মূলত কৃষিতত্ত্বভিত্তিক ছড়া। অসংখ্য খনার বচন যুগ যুগ ধরে গ্রাম-বাংলার জনজীবনের সাথে মিশে আছে।