শবে বরাত নামাজ – shab e barat

আজ পবিত্র শবে বরাত বা লাইলাতুল বরাত। শবে বরাতের নামাজের নিয়ম জানতে আমাদের এই নামাজের অ্যাপ যা আপনাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। শবে বরাতের নামাজের নিয়ত জানতে চাইলে আমাদের এই অ্যাপ আপনার জন্য। শবে বরাত কি এবং শবে বরাতের ফজিলত এখানে খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এই অ্যাপ্টির মাধ্যমে শবে বরাত নামাজ সহ আরও অনেক বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস মতে, এ রাতে বহু সংখ্যক বান্দা আল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষমা ও আশীর্বাদ লাভ করে জাহান্নাম থেকে নিষ্কৃতি লাভ করেন। তাই, এ রজনীকে আরবিতে ‘লাইলাতুল বারাআত’ বা ‘নিষ্কৃতি/মুক্তির রজনী’ বলা হয়।

শবে বরাত মানে ‘মুক্তির রাত’। শবে বরাতের করণীয় সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আমার কাছে শাবান মাসের রোজা অন্য মাসের তুলনায় অধিক প্রিয়। যখন তোমাদের কাছে শাবানের রাত (শবে বরাত) হাজির হবে, তখন তোমরা সেই রাতটি জাগ্রত থাকো (নামাজ পড়ে, কোরআন তেলাওয়াত করে, তাসবিহ পড়ে, জিকির করে, দোয়া করে) এবং দিনের বেলা রোজা রাখো। কারণ, এ রাতে মহান আল্লাহ সূর্যাস্তের পর থেকে ফজর পর্যন্ত দুনিয়ার আসমানে এসে ঘোষণা করেন, আছে কি এমন কোনো ব্যক্তি যে তার গুনাহ মাফের জন্য আমার কাছে প্রার্থনা করবে? আমি তার গুনাহসমূহ মাফ করে দেব। আছে কি এমন কোনো রিজিক প্রার্থনাকারী, যে আমার কাছে রিজিক প্রার্থনা করবে? আমি তার রিজিকের ব্যবস্থা করে দেব। আছে কি এমন কোনো বিপদগ্রস্ত, যে আমার কাছে বিপদ থেকে মুক্তি চাইবে? আমি তাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করব। এভাবে সারারাত আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে ঘোষণা হতে থাকে এবং বান্দার ওপর বৃষ্টির মতো রহমত নাজিল হতে থাকে। (ইবনে মাজাহ : ১৩৮৪, বায়হাকি : ৩৮২৩)

শবে বরাতে নফল নামাজের নিয়ম হলো, অন্য নফল নামাজের মতোই দুই রাকাত করে নামাজ পড়া। প্রতি রাকাতেই সুরা ফাতেহার পর পবিত্র কোরআনের যে কোনো সুরা পড়া। এরপর যথানিয়মে রুকু-সিজদা করা এবং অন্য রুকনগুলো আদায় করা। এভাবে দুই রাকাত নামাজ শেষ করা।

দুই বা চার রাকাত নামাজ পড়ার পর কিছু সময় দোয়া-দরুদ, তাসবি-তাহলিল পড়া, জিকির করা, কোরআন তেলাওয়াত করা। এরপর আবার নামাজে দাঁড়ানো। নামাজের পর আবার জিকির-আজকার, কোরআন তেলাওয়াত, তাওবা-ইস্তেগফার করা, দীনি আলোচনা শোনা, কোরআন-হাদিসের ব্যাখ্যা পড়া ইত্যাদি।

এভাবে সাধ্য অনুযায়ী যত রাকাত নামাজ পড়া যায় পড়তে পারেন। রাকাতেরও নির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা নেই। পবিত্র কুরআনে যথাসাধ্য নফল ইবাদত করার প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে। আল্লাহ তায়ালা সাধ্যের বাইরে কোনো কিছু চাপিয়ে দেন না। এ ব্যাপারে বাড়াবাড়ি-ছাড়াছাড়ি কোনোটাই করা যাবে না। এই নিয়মটি এজন্য বলা হলো যে, একাধারে একটি আমল করতে থাকলে হয়তো কারো কারো একঘেয়েমি আসতে পারে, তাই পরিবর্তন করে আমলগুলো করে এই বরকতময় রাতটি ইবাদতে কাটিয়ে দেওয়া সহজ হবে।

এই এপ্টিতে যা যা থাকছে,

-পবিত্র শবে বরাতের আমল ও ফজীলত

-শবে বরাতের নামাজের নিয়ম

-শবে বরাতের নামাজের নিয়ত

-শবে বরাতের ফজিলত ও ইবাদত

-শবে বরাত ২০২০

-শবে বরাতে করনীয়

-শবে বরাতে বর্জনীয়

-গোরস্থানের দোয়া

-কবরের আজাব ও কবরের দোয়া

-নফল নামাজ সমূহ

-নফল রোজা বা শাবান মাসে নফল রোযা।

-সালাতুল তাজবিহ নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম

-বাংলা অয়াজ বা ওয়াজ

-ইশরাক নামাজ ও সালাতুর রাসুল

-সালাতুল হাজত নামাজ

Shab-e-Barat Muslim religious rite observed at the night of 15 Shaban of the Hegira calendar. The Persian compound word, construed with shab, night, and barat, commission, means 'the night of commission or assignment', and is known in Arabic as Lailatul bara'at, meaning the night of emancipation. In the subcontinent, Shab-e-barat is observed as the night of good fortune.

The observance of Shab-e-barat has a special significance. Muslims believe that man's fate for the coming year is determined in this night. If someone prays to Allah throughout the night and asks for His forgiveness, he can expect that all his sins will be forgiven.